হাবিবুরের ছেলে শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সামিউল
রহমানও বহিষ্কৃত হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের
জন্য শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাবিবুর রহমান হাবু ও তার ছেলে
সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সামিউল রহমানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
হাবিবুর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের (মিরহাজীর বাগ-দোলাইরপাড়)
কাউন্সিলর।
এর আগে ২০১৬ সায়েদাবাদ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার অভিযোগে
তাকে কাউন্সিলরের পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এবার দল থেকে তার ও ছেলের বহিষ্কারের পেছনে দলের এক নেতাকে সভায় মারধর
করাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ও্ই নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাসখানেক
আগে ঢাকা-৫ নির্বাচনী আসনের ঢাকা মহানগরের টিমের বৈঠকে হাবু ও তার ছেলে সামিউল ৫১ নম্বর
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ রোকনকে মারধর করে এবং মহানগর দক্ষিণের
দায়িত্বশীল নেতাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। এই ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।”
বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চাইলে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি
আবু আহমেদ মন্নাফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দলীয়শৃঙ্খলা
ভঙ্গ, অশালীন আচরণ, অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, যা কখনও কাম্য নয়, সেই কারণে মহানগরের সকল
নেতাদের নিয়ে বৈঠকে তাদের দুইজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিস
দেওয়া হয়েছে।”
বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে হাবিবুর ও তার ছেলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।