এখন
গ্রাহকরা এ তহবিল থেকে মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আগে
গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ।
বুধবার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিবিভাগ থেকে এ সার্কুলারে সুদহার কমানোর
বিষয়টি জানানো হয়।
২০২০
সালে ‘করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট খাতে পুর্নঅর্থায়ন
স্কিম’ নামের এ তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্য উৎপাদনে রপ্তানির আগেই এ তহবিল
থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়।
পাঁচ
হাজার কোটি টাকার আবর্তনযোগ্য এ স্কিম নিজস্ব তহবিল থেকে গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তখন সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। আর ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারত।
বুধবারের
সার্কুলারে বলা হয়, এ স্কিম থেকে ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ঋণ নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে
সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এরমধ্যেই ব্যাংকের সব সেবা ফি ও চার্জ
ধরা থাকবে।
স্থানীয়ভাবে
উৎপাদিত রপ্তানিমুখী যে কোনো শিল্পে প্রি-শিপমেন্ট খাতে এ ঋণ বিতরণ করা যাবে উল্লেখ
করে সার্কুলারে এ তহবিল থেকে পুর্নঅর্থায়নে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল
ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী চুক্তি করতে বলা হয়েছে। আগে যেসব ব্যাংকের
চুক্তি রয়েছে তাদের নতুন করে আর করতে হবে না।
সার্কুলারে
আরও বলা হয়েছে, “এ তহবিলের আওতায় পুর্নঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণকারী কোনো গ্রাহকের পরপর
তিনটি রপ্তানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকলে নতুনভাবে আর কোন সুবিধা পাবেন না।“
“শেল’
কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আদেশের বা ‘শেল’ ব্যাংকের রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে
এ তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া যাবে না।’’
অর্থাৎ
দেশি কোনো উদ্যোক্তা ‘শেল’ কোম্পানি বা ব্যাংকের ঋণপত্রের বিপরীতে পণ্য পাঠাতে চাইলে
এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে না।
ঋণের
সীমা ও বাছাই পদ্ধতির বিষয়ে ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্ক এবং প্রচলিত নিয়ম মানতে নির্দেশনা
দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।