ক্যাটাগরি

আবার মাঠের বাইরে শরিফুল

চোট ও অসুস্থতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফেরার পর এই টেস্ট দিয়েই মাঠে ফিরেছিলেন শরিফুল। এখন আবার শুরু হলো তার ফেরার লড়াই।

টেস্টের চতুর্থ দিন বিকেলে বুধবার বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৬৭তম ওভারে লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথার একটি শর্ট বলে হাতে চোট পান শরিফুল। ফিজিও তখন মাঠে ঢুকে কিছুটা চিকিৎসাও করেন। পরে ব্যাটিং চালিয়ে যান। ১৭১তম ওভারে আরেকটি শর্ট বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি।

ব্যাটে-বলে যদিও করতে পারেননি ওই শটে। তবে তখনই বাঁহাত দিয়ে চেপে ধরেন ডান হাত। এবার আর ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি। মাঠ ছেড়ে যান তখনই, বাংলাদেশের ইনিংসও শেষ হয়। বিকেলে আর বোলিং করতে দেখা যায়নি তাকে। হাতে ব্যান্ডেজ করে যদিও মাঠে ছিলেন তিনি।

দিনের খেলা শেষে এক্স-রে করিয়ে তার ডান হাতে ধরা পড়ে চিড়। বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানান, এই ধরনের চোট সেড়ে উঠতে সাধারণত তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগে। তার পর পুনবার্সন প্রক্রিয়ায় সময় লাগে আরও এক-দুই সপ্তাহ।

এই সিরিজ তো তার শেষই, আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও প্রথম টেস্টে তাকে না পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। সিরিজের সূচি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ১৬ জুন।

গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই খেলেন শরিফুল। এরপর চোট অ্যাঙ্কেলে। সেই চোটের সঙ্গে যোগ হয় শারীরিক একটি সমস্যা। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টে দলের সঙ্গে থাকলেও খেলতে পারেননি। প্রথম টেস্টের পর ফিরে আসেন দেশে।

এরপর চোট থেকে সেরে উঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে খেলেন। পরে শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করাতে যান সিঙ্গাপুরে। সেখানে অস্ত্রোপচার করানোর কথা থাকলেও এই দফায় আর তা লাগেনি। দেশে ফিরে দলে যোগ দিয়ে তিনি খেলেন এই টেস্ট। এখানেই আবার বিপত্তি।

শরিফুলকে হারানো বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের জন্য আরেক ধাক্কা। চোটের কারণে আগেই ছিটকে গেছেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও টেস্ট সিরিজে তাসকিনকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এবার দল হারাল শরিফুলকেও।