বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডনের
একটি হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন
অবস্থায় তার
মৃত্যু হয়
বলে যুক্তরাজ্যে
বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা
তাসনিম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
তিনি বলেন,
“গত কিছুদিন
ধরে গাফফার
চৌধুরী হাসপাতালে
ছিলেন।
আজ সকাল
৭টার দিকে
উনার মৃত্যু
হয়েছে বলে
উনার মেয়ে
আমাকে জানিয়েছেন। আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”
বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা
বাঁক বদলের
সাক্ষী গাফফার
চৌধুরী ছিলেন
একাত্তরের মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক
জয়বাংলার নির্বাহী সম্পাদক। ১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনে
বসবাস করলেও
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার
পক্ষে তার
কলম সোচ্চার
ছিল বরাবর।
প্রবাসে থেকেও ঢাকার
পত্রিকাগুলোতে তিনি যেমন রাজনৈতিক ধারাভাষ্য
আর সমকালীন
বিষয় নিয়ে
একের পর
এক নিবন্ধ
লিখে গেছেন,
তেমনি লিখেছেন
কবিতা, গল্প,
উপন্যাস, নাটক,
স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ।
তার মৃত্যুতে গভীর
শোক প্রকাশ
করেছেন রাষ্ট্রপতি
মো. আবদুল
হামিদ। এক শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, কালজয়ী গান ও
লেখনীর মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
“তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় বিশ্বাসী একজন অগ্রপথিককে হারাল।”
প্রধানমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, “আব্দুল গাফফার চৌধুরী তার মেধা-কর্ম ও লেখনীতে এই দেশের
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন। তিনি বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার
প্রত্যয়কে সমর্থন করে জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।”
ডায়াবেটিস ও কিডনি
রোগে আক্রান্ত
গাফ্ফার চৌধুরীকে
মাস দুই
আগে লন্ডনের
নর্থ উইক
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি হাসপাতালে
থাকা অবস্থাতেই
এপ্রিলে মারা
যান তার
মেয়ে বিনীতা
চৌধুরী।
গাফফার চৌধুরীর চার
মেয়ে এবং
এক ছেলের
মধ্যে বিনীতা
ছিলেন তৃতীয়। বাবার সাথেই তিনি লন্ডনের
এজওয়ারের বাসায়
থাকতেন, তার
দেখাশোনা করতেন। তার বয়স হয়েছিল ৫০
বছর।
হাই কমিশনের প্রেস
মিনিস্টার আশিকুন্নবী চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন,
“আমরা উনার
পরিবারের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখছি। উনার ছেলের সাথেও কথা
হয়েছে।
শেষ কাজের
বিষয়ে সিদ্ধান্ত
হলে পরে
জানিয়ে দেব।”
বিস্তারিত আসছে