এখন
থেকে চিকিৎসা, নিজস্ব অর্থায়নে হজে যাওয়া এবং আয়োজক সংস্থার পূর্ণ অর্থায়নে প্রশিক্ষণ
ছাড়া অন্য কোনো কারণে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা।
ওই
তিন ক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোনো কারনে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি যারা এর আগে পেয়েছিলেন, তাও
বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বুধবার অভ্যন্তরীণ এক সার্কুলারে
বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মহামারীর
পর ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে পড়েছে বিশ্বের অনেক দেশ।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ার পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হারে দেখা দিয়েছে
অস্থিরতা।
এ
পরিস্থিতিতে ডলার বাঁচাতে বিলাসপণ্য আমদানিতে লাগাম দেওয়ার পাশাপাশি কৃচ্ছ্রের পথে
হাঁটছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করার আদেশ আসে
গত ১২ মে।
খোলা বাজারে একশ ছাড়াল, ডলার ‘মিলছে না’ তবুও
উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও ইউজিসি কর্মকর্তাদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ বাতিল
বিদেশ সফর সীমিত হল সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে
এরপর
১৬ মে আরেক সার্কুলারে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান,
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের
বিদেশ ভ্রমণও সীমিত করার আদেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার
বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। পরে বুধবার বিদেশ
যাত্রা সীমিত করতে সার্কুলার জারি হয়।
পরিচালন
ও উন্নয়ন বাজেটের আওতয়ায় সব বৈদেশিক ভ্রমণ সীমিত করার কথা বলা হয়েছে ওই সার্কুলারে।
“পুনরাদেশ
না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পূর্ণ ও আংশিক অর্থায়নে সকল প্রকার এক্সপোজার
ভিজিট/ স্টাডি ট্যুর এবং ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।
“নিজস্ব
অর্থায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জরুরি চিকিৎসা এবং পবিত্র হজ্ব পালন
ব্যতীত অন্যান্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করা হবে না।”
আদেশে
বলা হয়, “আয়োজক সংস্থার সম্পূর্ণ অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ, পবিত্র হজ এবং জরুরি
চিকিৎসা ব্যতীত বৈদেশিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারিদের অনুকূলে
ইতোমধ্যে জারিকৃত সকল নির্দেশ ও পত্র বাতিল করা হল।”