ক্যাটাগরি

কোভিডে বেড়েছে হরিণের সংখ্যা, বিক্রি করছে চিড়িয়াখানা

চট্টগ্রামের
গহর সিরাজ জামিল নামে এক ব্যক্তি ‘শখের বশে লালন-পালনের জন্য’ দেড় লাখ টাকায় এসব হরিণ
কেনেন। এর মধ্যে একটি পুরুষ আর দুটি স্ত্রী হরিণ রয়েছে।

চিড়িয়াখানার
ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার বলেন, তাদের তিনটি শেডে সর্বাধিক ৪০টি হরিণ রাখার
ব্যবস্থা আছে। কোভিড মহামারীতে সরকারি নির্দেশে চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখা হয়।

“কোলাহলমুক্ত
পরিবেশে খাঁচাবন্দি পশু-পাখির প্রজননক্ষমতা বেড়েছে। ঘোড়া, হরিণ, গাধা, বানর, ময়ূর, মদনটেকসহ আরও কিছু প্রাণীর
ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। হরিণ বেড়ে হয়েছে ৫৭টি। ফলে তিনটি হরিণ বিক্রি করা হয় এক
লাখ ৫০ হাজার টাকায়।”

হরিণ কেনার
আগে সিরাজ চট্টগ্রাম বন বিভাগের অনুমতি নেন বলে জানান আম্বর আলী।

বৃহস্পতিবার
দুপুরে খাঁচাবন্দি হরিণগুলো ট্রাকে তুলে রংপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন সিরাজ
জামিল।

সিরাজ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক দিনের শখ থেকেই হরিণ তিনটি কিনেছি। কেনার
জন্য প্রথমে চট্টগ্রামে বনবিভাগে আবেদন করি। অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। অনেক
দিন লেগে যায় প্রক্রিয়া শেষ হতে।”

গত বছর
৬ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হরিণের দাম পুনর্নির্ধারণ
করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে
বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রি করতে পারবে
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিত্রা
হরিণের দাম ৭০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

আরও

চিড়িয়াখানার হরিণের দাম কমল