তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এক বৈশ্বিক
জরিপের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, “করোনা
মোকাবেলায় বাংলাদেশ পৃথিবীর পঞ্চম
সফলতম দেশ।
সম্প্রতি জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান
নিকেই এশিয়া বিশ্বের ১২১টি
দেশে ‘কোভিড-১৯ রিকোভারি
সূচক’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করে। তাতে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
জাহিদ মালেক বলেন, “বাংলাদেশ এখন শুধু
অর্থনৈতিক উন্নয়নে নয়, করোনাভাইরাস
মোকাবেলায়ও রোল মডেল হিসেবে
আবির্ভূত হয়েছে।
“ওই সূচকের
বাংলাদেশের আগের দেশগুলো হচ্ছে- কাতার, সংযুক্ত
আরব আমিরাত, কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডা। চারটি দেশের মোট জনগণ
এক কোটিও হবে না। আর আমরা ১৭ কোটি
মানুষের দেশ। সেদিক
দিয়ে বাংলাদেশ এক নম্বরেই
আছে।”
গত একমাস ধরে দেশে কোভিড-১৯ কোনো মৃত্যু না ঘটার তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান
পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই,
যেখানে কোভিডে একটি মৃত্যুও
নেই।”
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশে এই পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি
টাকার কোভিড
টিকা জনগণকে বিনামূল্যে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
“দেশের মানুষকে এ পর্যন্ত
বিনামূল্যে ৪০ হাজার কোটি
টাকার টিকা দেওয়া হয়েছে। খুব কম দেশই
এটা করতে পেরেছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব
অনুযায়ী দেশে এ পর্যন্ত
২৬ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া
হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম
ডোজ দেওয়া হয়েছে প্রায়
১২ কোটি ৮৭ লাখ, দ্বিতীয়
ডোজ প্রায় ১১ কোটি
৭০ লাখ এবং বুষ্টার
ডোজ প্রায় ১ কোটি
৪০ লাখ।
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বনানীর ঢাকা শেরাটন হোটেলের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সবাইকে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার
মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বক্তব্য
রাখেন।