আর তা যদি সঠিকভাবে করা যায় তবে এই ধরনের কড়াই বছরের পর
বছর ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে।
রিয়েলসিম্পলডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই পদ্ধতি দেওয়া
হয়।
‘নন-স্টিকি’ বৈশিষ্ট্য আনার উপায় হল ‘সিজনিং’। রান্নার
তেলের একটা প্রলেপ ফেলে বেইক বা জ্বাল দেওয়া হয়। এরপর যতবার ওই কড়াই তেল দিয়ে গরম করা
হবে ততবারই সেই তেলের প্রলেপ আরও শক্তিশালী হবে।
যা যা লাগবে
সিজনিং’য়ের জন্য লাগবে ভেজিটেবল অয়েল, মোটা টিস্যু বা
‘পেপার টাওয়াল’, পরিষ্কার কাপড়ও ব্যবহার করতে পারেন। যদি ‘বেইক’ করেন তবে প্রয়োজন হবে
‘অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল’ কিংবা ‘বেইকিং শিট’। আর ঢালাই লোহার কড়াই তো লাগবেই।
বেইক করার পদ্ধতি
প্রথমে কড়াইটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।
এবার পুরো কড়াইতে ভেজিটেবল অয়েল মাখিয়ে নিতে হবে। শুধু কড়াইয়ের ভেতরে নয়, বাইরে, আশপাশে
সবখানে তেল মাখাতে হবে। এবার তা উল্টো করে ওভেনে রাখতে হবে।
কড়াইয়ের নিচে রাখতে হবে ‘অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল’ কিংবা ‘বেইকিং
শিট’। কড়াই থেকে ফোটায় ফোটায় পড়া তেল শুষে নেওয়া জন্য। এবার এক ঘণ্টা বেইক করতে হবে।
সবশেষে কড়াইটি ঠাণ্ডা করে শুকাতে হবে।
পরিষ্কার করতে
করণীয়
তেলের আস্তর দেওয়া এই ঢালাই লোহার কড়াই পরিষ্কার করতে হবে
গরম পানি দিয়ে। পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, ‘কোর্স সল্ট’ কিংবা মৃদু ‘ডিশওয়াশিং
সোপ’।
ধাতব ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে না। তবে ‘স্টিল উল’ ব্যবহার
করতে পারেন।
পদ্ধতি
রান্না শেষ হওয়ার পর পরই গরম পানি দিয়ে কড়াই ধুয়ে ফেলতে
হবে। পানিতে লম্বা সময় ভিজিয়ে রাখা যাবে না, অন্যথায় আবার সিজনিং করতে হবে।
ধাতব মাজুনি ব্যবহার করা যাবে না। আর সাবান হবে মৃদু মাত্রার।
তবে যদি মাংস রান্না করা হয় তবে তা ভালোভাবে ধুতে হবে এবং আবার সিজনিং করতে হবে।
কড়াইটা আঠাল হলে কিংবা তাতে মরিচা পড়লেও ধুয়ে আবার সিজনিং
করতে হবে।
আরও পড়ুন
সহজে রান্না করার টুকিটাকি বিষয়