গত বছর দুয়েক ধরেই টেস্ট ও ওয়ানডেতে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন লিটন। বিশেষ করে টেস্টে তিনি দলের বড় ভরসা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই চট্টগ্রাম টেস্টেও আরও একবার তিনি প্রমাণ করেছেন নিজের উপযোগিতা। ১৫৩ ওভার কিপিং করেন প্রায় দুই দিন ধরে। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে খেলেন ১৮৯ বলে ৮৮ রানের নান্দনিক ইনিংস।
কাছে গিয়েও সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া করেন তিনি আলগা এক শটে। তবে ব্যাটিং আর কিপিংয়ে নিজের কার্যকারিতা দেখিয়ে দেন আরেকবার।
টেস্টের শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে টিভি সাক্ষাৎকারে এই কিপার-ব্যাটসম্যান বলেন, জোড়া দায়িত্বে কষ্টের কাজেই তিনি সুখ খুঁজে নিয়েছেন দলের চাওয়ায়।
“মনোযোগ তো সবসময়ই দিতে হয় (মাঠে)। পরিশ্রমের জায়গাটাও অনেক। কারণ, এরকম কন্ডিশনে ১৬০ ওভারের মতো কিপিং করা, আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে এই প্রচণ্ড গরমে, এরপর ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব তো আছেই, দল আমার কাছে রান চায়।”
“আমার কাছে মনে হয়, দুটিই কষ্টকর। তবে আমি যখন ব্যাটিংয়ে যাই, মাথায় রাখি যে দল আমার কাছে অনেক কিছু চায়। এটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয় যে দল আমাকে মূল্যবান ক্রিকেটার মনে করে। চেষ্টা করি দলকে কিছু দেওয়ার।”
দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা তার বেশ সফল হচ্ছে গত দুই বছর ধরেই। টেস্টে পায়ের নিচে জমিন শক্ত করতে তার সময় লাগে বেশ। তবে এখন অনায়াসেই গড়ে তুলছেন রানের সৌধ। ২০২০ সাল থেকে চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংস পর্যন্ত ১৪ টেস্টে ১ হাজার ৭৪ রান তার ২ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে। ব্যাটিং গড় ৪৬.৬৯। এই সময়ে ৯০০ রানও নেই বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের।
কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সময়ে ১৩ টেস্টে ৯৬৪ রান তার ৪৫.৯০ গড়ে। কিপার-ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই সময়ে ৪০ গড় নেই আর কারও।
নিজেকে বদলে ফেলার পেছনের গল্প ছোট্ট করে তুলে ধরলেন ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
“আমি প্র্যাকটিস মেথড বদলেছি, বিশেষ করে এই সংস্করণের জন্য। নির্দিষ্ট কিছু অনুশীলন করেছি, মানসিকতার বদল তো অবশ্যই। নিজের ধৈর্য (বেড়েছে)… আমার মনে হয়, অনুশীলন আর মানসিকতার জন্যই হয়তো ফল পাচ্ছি।”