বৃহস্পতিবার পুলিশের ওই এএসআইর ওই কাণ্ডের পর বিকালে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে ওই চিঠি পাঠান।
চিঠিতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘টেন্ডার ফেলে’ আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই এএসআইকে নগর ভবনেই আটকে ফেলার পর শাহবাগ থানার জিম্মায় দেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ডিএসসিসির মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, ব্লক-এ,ব্লক-বি, ব্লক-সি এর বেইজমেন্টগুলোতে কার পার্কিংয়ের দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার।
ডিএসসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বিবেচনায় শাহবাগ থানায় চিঠি প্রদান করে পুলিশ আনয়নসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
“আনুমানিক ১১.৪০ ঘটিকায় কামরুল হাসান ওয়াকিটকি হাতে পুলিশ পরিচয়ে দরপত্র দাখিল করতে যান। দরপত্র দাখিলের নিমিত্ত অপরাপর ব্যক্তিগণ কর্তৃক এতে বাধা প্রদান করা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।”
তখন এএসআই কামরুলকে আটকে ফেলে শাহবাগ থানার এসআই (নিরস্ত্র) দীপকবালার জিম্মায় দেওয়া হয় বলে চিঠিতে জানান রাসেল সাবরিন।
ডিএসসিসির একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই ঘটনা ঘটার পরপরই আমাদের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টেন্ডারের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”