চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন লিটন ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই তখন ফিফটি পেরিয়ে গেছেন। লিটন সাবলীল শুরু করলেও পরে একটু গুটিয়ে যান। মুশফিক সেশনজুড়েই ছিলেন সাবধানী। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না পড়লেও ২৭ ওভারে রান আসে মাত্র ৬৭।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ডেলিভারিতেই অনেক বাইরের বল তাড়া করে লিটন আউট হন ৮৮ রানে। পরে ক্রিজে যান তামিম ইকবাল, আগের দিন ১৩৩ রান করে যিনি ক্রিজ ছেড়েছিলেন ক্র্যাম্প নিয়ে। নতুন করে নেমে তিনি যোগ করতে পারেননি একটি রানও। প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান কাসুন রাজিথার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে।
বাংলাদেশ তখনও লিড নেয়নি। সাম্প্রতিক ব্যাটিং ধসগুলোর কারণে শঙ্কার জায়গাও ছিল কিছুটা। উইকেট যদিও ব্যাটিং বান্ধব, তবে দলের আত্মবিশ্বাস তো তলানিতে! তবে মুশফিক এক প্রান্ত আগলে রাখেন। অন্য প্রান্তে সাকিব আল হাসান কিছু সময় কাটান উইকেটে। নাঈম হাসান ৫৩ বল খেলে করেন ৯ রান। মুশফিক সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ২৭০ বলে, যা তার ক্যারিয়ারের মন্থরতম সেঞ্চুরি।
গোটা দিনে ৬৩.১ ওভার খেলে বাংলাদেশ তুলতে পারে স্রেফ ১৪৭ রান। ওভারপ্রতি রান ছিল আড়াইয়ের মতো। আরেকটু দ্রুত রান তুলতে পারলে শ্রীলঙ্কাকে আরও চাপে ফেলে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে পারত বাংলাদেশ।
পঞ্চম দিনের শুরুতে টিভি সাক্ষাৎকারে লিটন বলেন, উইকেট পড়ে যাওয়াতেই দ্রুত রানের পথে ছোটার ঝুঁকি তারা নেননি।
“আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রথম সেশন নরম্যাল ক্রিকেট খেলে কাটিয়ে দেওয়া। এরপর দ্বিতীয় সেশনে পরিস্থিতি বুঝে একটু দ্রুত রান তোলা। তবে লাঞ্চের পর দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলায় তা আর হয়নি।”
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন অধিনায়ক মুমিনুল।
“যদি ৫ দিনের খেলাই দেখেন, ওদের আর আমাদের, এই উইকেটটা এমন একটা উইকেট ছিল, যেখানে আপনি টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি বেশি ‘এক্সাইটেড’ হয়ে যান, তাহলে উইকেট পড়ার শঙ্কাটা কিছুটা বেড়ে যাবে। ওই সময়টাতে লিটন যদি আউট না হতো, তাহলে সেই চান্সটা আমরা নিতে পারতাম। কিন্তু সেই চান্সটা নিতে গিয়ে আমরা দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়েছিলাম।”
“লিটন যদি আরও এক ঘণ্টা মুশফিক ভাইয়ের সাথে খেলতে পারত, তাহলে হয়ত আমরা জিনিসটা অন্যরকম করতে পারতাম। এই উইকেটে এক-দুই রান হতে পারে, কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গেলে সেটিতে আউট হওয়ার শঙ্কা বেশি থাকে।”