বৃহস্পতিবারের এই প্রোটোটাইপ উন্মোচনকে পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরির দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধেরে ফেলার উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছে রয়টার্স।
‘সিনিক ভিশন’ নামের এই গাড়ি ২০৩০-৩২ সালের আগে বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে নির্মাতা। তবে, একটি পূর্ণ বৈদ্যুতিক সংস্করণ ২০২৪ সালে বাজারে আসবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো এই গাড়িতেও বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহৃত হয়েছে, তবে মোটরটি হাইড্রোজেন সেল থেকে পাওয়া বিদ্যুতে চলার ফলে ব্যাটারির সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
রেনো বলছে, ১৬ কিলোওয়াট ক্ষমতার ব্যটারিতে এই গাড়ি এক চার্জে ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। আর ব্যাটারিটির ওজন অর্ধেকে নামিয়ে আনার ফলে সব মিলিয়ে কার্বন দুষণ কমিয়ে আনা যাবে তিন চতুর্থাংশ।
তেলে চলা প্রচলিত ইঞ্জিনের গাড়ি উৎপাদন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিভাগকে আলাদা করার পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার পরই সিনিক ভিশনের ঘোষণা দিলো রেনো।
গেল দশকের শুরুতেই জাপানের নিসান এবং মিৎসুবিশির সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেসে পিছিয়ে পড়ে রেনো। আর, রয়টার্স বলছে, এর রাহুগ্রাস সম্পন্ন হয় টেসলা আর ফোক্সভাগেনের কারণে।
এশিয়ার নির্মাতা টয়োটা এবং হুন্ডাই এরইমধ্যে বাজারে হাইড্রোজেন সেল চালিত গাড়ি এনেছে। আর, বিএমডাব্লিউ একটি ছোট ব্যাচ সিরিজ আকারে এ বছরই হাইড্রোজেন চালিত আইএক্স৫ আনার পথে এগোচ্ছে।