শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে মোটামুটি বড় স্কোর গড়তে পারে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় তোলেন ১৬২ রান। তবে এই জুটি ভাঙার পর আরও দুটি উইকেট বেশ দ্রুত হারায় বাংলাদেশ। ২২ রানের মধ্যে তখন হারায় ৩ উইকেট।
পরে তামিম, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে ইনিংসে ধস নামেনি। মুশফিক ও লিটনের বড় জুটি ভাঙার পর আবার উইকেট পড়ে আরেকটি। চতুর্থ দিন লাঞ্চের পর লিটন ও তামিম আউট হন পরপর দুই বলে।
তবে পিঠাপিঠি উইকেট হারানোর এই ধারায় দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না মুমিনুল। টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বললেন, দু-তিনজন বড় রান করলেই দলের চলবে।
“তাহলে কী আমার মনে হয়…সত্যি কথা বলতে সবার তো পারফর্ম করা কঠিন। ১১ জন যদি ১০০ করে, তাহলে রান হবে ১১০০ (হাসি)। ক্রিকেট খেলাটা তো এরকম, হয়তো দুজন পারফর্ম করবে অথবা তিনজন করবে। যারা করবে, তারা বড় করবে। জিনিসটা তো এরকমই। এটা তাই বড় কিছু নয়।”
অধিনায়কের দুশ্চিন্তা নেই নিজের ফর্ম নিয়েও। টানা ব্যর্থতার ধারা থেকে এই টেস্টেও বের হতে পারেননি তিনি। নিজের প্রিয় মাঠেও পাননি বড় রানের দেখা। এই ব্যাটিং উইকেটেও পারেননি ছন্দে ফিরতে। আউট হন তিনি স্রেফ ২ রান করে।
এই নিয়ে টানা ৫ ইনিংসে তিনি আউট হলেন ১০ ছোঁয়ার আগেই। সবশেষ ১৩ ইনিংসের মধ্যে দু অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না ১০টিতেই। তবে নিজের ফর্ম নিয়ে অধিনায়ক বললেন আগের কথাই, “আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি সত্যি কথা বলতে অত বেশি চিন্তিত নই।”