বৃহস্পতিবার
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সিধু ১৯৮৮ সালে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ৬৫ বছর বয়সী গুরনাম সিংকে আঘাত করেছিলেন; যা পরে তার মৃত্যুর কারণ হয়ে
দাঁড়ায়।
এই
ঘটনায় সাবেক আইনপ্রণেতা সিধু অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও ২০১৮
সালে আদালত তাকে খালাস দেয়, যা সর্বশেষ রায়েও বহাল আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে
‘ইচ্ছাকৃত আঘাতের’ দায়ে এক
বছরের কারাদণ্ড সিধুর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
রাজ্য
নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর সাবেক এ ক্রিকেটার সম্প্রতি পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের
পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
১৯৮৮
সালে পাতিয়ালায় গুরনামের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময়ই সিধু ভারতীয় ক্রিকেট দলের উদীয়মান
তারকা।
১৯৯৯
সালে বিচারিক আদালতে খালাস পান সিধু। রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০০৬
সালে হাইকোর্ট তাকে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে।
ওই
রায়ের পর সিধু তার সংসদীয় আসন ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ভারতের আইনে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত
কারোর জনপ্রতিনিধি থাকার সুযোগ নেই।
হাই
কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন সিধু; সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টের
রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে পুননির্বাচনে নিজের আসন থেকে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান সাবেক
এ ক্রিকেটার।
২০১৮
সালে সুপ্রিম কোর্ট তাকে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায় থেকে মুক্তি দিলেও গুরমানকে আঘাতের দায়ে
তাকে এক হাজার রুপি জরিমানা করে।
গুরমানের
পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে এ এক বছরের
কারাদণ্ড দেয়।