এর আগে সবশেষ ২০ এপ্রিল একজনের
মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে
করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর আসার পর আর কখনও
টানা এক মাস কোভিডে
মৃত্যুহীন থাকেনি বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে
আরও ৫০ জন করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের ৪৫ জনই ঢাকা
জেলার বাসিন্দা।
মোট ৬ হাজার ৩১৩
জনের নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৫০ জন
নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ৩৫ জন রোগী
শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। একদিন
আগে যা ছিল শূন্য
দশমিক ৬০ শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩
হাজার ১৮৮ জন। আর মৃত্যুর মোট
সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭
জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ
হয়ে উঠেছেন ২২১ জন কোভিড রোগী।
তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫৭৫
জন সেরে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৪৮৬ জন। অর্থাৎ
তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত এক দিনে শনাক্ত ৫০ জন নতুন রোগীর মধ্যে ৪৫ জন ঢাকা মহানগর ও
জেলার বাসিন্দা। এছাড়া রাজশাহীর ২ জন, নওগাঁর ১ জন, জয়পুরহাটের ১ জন এবং সিলেটের আক্রান্ত
শনাক্ত হয়েছেন।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড
১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪
জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৭৩
হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৪০ লাখ।