ক্যাটাগরি

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু শুক্রবার

প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯টি উপজেলায় এ হালনাগাদে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ, মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ ও ভোটার স্থানান্তরের কাজ চলবে।

এবার ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী নাগরিকদের তথ্য নেবে ইসি। ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তারা এবার নিবন্ধনের সুযোগ পাবে।

ইসির যুগ্মসচিব জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে, নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এবং নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

>> প্রথম ধাপের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ৯ জুন পর্যন্ত

>> এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন

>> ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এই ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে

>> সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে স্বাক্ষর দিতে হবে এবং তার ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে।

>> এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে এ বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।

>> যাদের জন্ম ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৩ সালের ২ মার্চ।

>> যাদের জন্ম ২০০৬  সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভূক্ত করে ভোটার তালিকা প্রকশ করা হবে ২০২৪ সালের ২ মার্চ।

>> যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভূক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকশ করা করা হবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, এ ধাপে ১৪০টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও আস্মিক বন্যার কারণে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার তথ্য সংগ্রহের কাজ স্থগিত করা হয়েছে।

প্রায় ৫৬ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ জন সুপারভাইজার এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন।

দেশের নাগরিকদের মধ্যে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এবং বাদ পড়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এই হালনাগাদে।

যে ১৩৯টি জেলায় প্রথম ধাপে তথ্য সংগ্রহ

রংপুর অঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার সদর, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, দিনাজপুর জেলার সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারী জেলার সদর ও ডিমলা, লালমনিরহাট জেলার সদর, রংপুর জেলার সদর ও পীরগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার সদর ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাট জেলার সদর, বগুড়া জেলার সদর, দুপচাঁচিয়া ও সারিয়াকান্দি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট, নওগাঁ জেলার সদর, পোরশা ও বদশগাছি, রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া, নাটোর জেলার সদর ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর ও তাড়াশ, পাবনা জেলার সদর ও ঈশ্বরদী।

খুলনা অঞ্চলের মেহেরপুর জেলার গাংনী, কুষ্টিয়া জেলার সদর ও কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ ও হরিণাকুণ্ডু, যশোর জেলার সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া, মাগুড়া জেলার সদর, নড়াইল জেলার সদর, বাগেরহাট জেলার সদর ও শরণখোলা, খুলনা জেলার সদর, সোনাডাঙ্গা ও দৌলতপুর, সাতক্ষীরা জেলার সদর ও তালা।

বরিশাল অঞ্চলের বরগুনা জেলার সদর ও আমতলী, পটুয়াখালী জেলার সদর ও গলাচিপা, ভোলা জেলার সদর ও মনপুরা, বরিশাল জেলার সদর, আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী, ঝালকাঠী জেলার সদর, পিরোজপুর জেলার ও নেছারাবাদ।

ফরিদপুর অঞ্চলের গোপালগঞ্জ জেলার সদর ও টুংগীপাড়া, মাদারীপুর জেলার সদর, শরিয়তপুর জেলার সদর ও ডামুড্যা, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর, রাজবাড়ী জেলার সদর।

ঢাকা অঞ্চলের মানিকগঞ্জ জেলার সদর ও শিবালয়, মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া, নরসিংদী জেলার শিবপুর ও পলাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর ও আড়াইহাজার, ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, সাভার, সুত্রাপুর, কোতয়ালী ও ডেমরা, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের টাঙ্গাইল জেলার সদর, সখিপুর ও ঘাটাইল, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, নেত্রকোনা জেলার সদর ও কলমাকান্দা, কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, কটিয়াদি ও তাড়াইল।

সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলার সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার সদর ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ জেলার সদর ও বাহুবল।

কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর, নাসিরনগর, কুমিল্লা জেলার লালমাই, বরুড়া, লাকসাম, হোমনা ও বুড়িচং, চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, ফেনী জেলার সদর ও ফুলগাজী, নোয়াখালী জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর ও রামগতি।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডু, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, লোহাগড়া, পটিয়া ও আনোয়ারা, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, রামু, চকরিয়া ও কুতুবদিয়া, খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মহালছড়ি ও লক্ষ্মীছুড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার সদর এবং বান্দরবান জেলার সদর উপজেলা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে, সেজন্য এবারও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত ডেটাবেজ যাচাই করে নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হবে।

এবার যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তাদের মধ্যে ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তারা ২০২৩ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।

হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ করে রাখা পরের দুই বছরের (২০০৭ ও ২০০৬) নাগরিকদের তথ্য ইসির ডেটাবেইজে সংরক্ষণ করা হবে। এসব নাগরিকরা যথাক্রমে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের হালনাগাদে স্বংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় আসবেন।

এছাড়া যে কেউ নির্বাচন অফিসে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে ভোটার হতে পারেন।

বর্তমানে দেশে ভোটার আছেন ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। তাদের মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন ট্রান্সজেন্ডার।

পুরনো খবর

এক বছরে ভোটার বাড়ল সাড়ে ১৫ লাখ
 

২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ
 

ভোটারের বাড়ি যান, বিড়ম্বনা গায়ে মাখবেন না: সিইসি
 

সংখ্যায় বেশি হলেও নারী ভোটার অনেক কম