বার্তা সংস্থা
রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যাপের বিদ্যমান সেবার সঙ্গে গেইমিংকে যুক্ত করতে আটঘাট বেঁধে মাঠে
নেমেছে টিকটক। ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে অ্যাপে গেইম খেলার ফিচার নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে
টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স।
বর্তমানে প্রতি
মাসে টিকটকের নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ কোটির বেশি। নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে গেইম
খেলার ফিচার যোগ হলে বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়বে কোম্পানির। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীরাও এ
অ্যাপে আরও বেশি সময় দেবেন।
তাছাড়া প্রযুক্তিভক্ত
হিসেবে পরিচিতি আছে ভিয়েতনামের নাগরিকদের। দেশটির জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বয়স ৩৫ এর নিচে
হওয়ায় টিকটক, ফেইসবুক, ইউটিউব এবং গুগলের মত প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে
ভিয়েতনামের বাজার।
রয়টার্স জানিয়েছে,
শিগগিরই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আরও বড় পরিসরে গেইমিং সেবা চালু করার পরিকল্পনা
করেছে বাইটড্যান্স। এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেই চালু হতে পারে এ ফিচার।
টিকটক এইচটিএমএল৫
গেইম আনতে কাজ করছে বলে এক ইমেইলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন প্ল্যাটফর্মটির এক মুখপাত্র।
তবে ভিয়েতনাম অথবা গেইমিং খাত নিয়ে সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি
তিনি।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার
বাইরে গেইমিং শিল্প নিয়ে টিকটকের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, তাও জানতে পারেনি রয়টার্স।
এর আগে নিজস্ব অ্যাপে অন্তত একটি মিনি-গেইম এনেছিল টিকটক। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য
সংস্থা ‘ফিডিং অ্যামেরিকা’র সঙ্গে জোট বেঁধে ‘গার্ডেন অফ গুড’ নামের ওই গেইম বানিয়েছিল
তারা।
এ ছাড়া গত বছরেই
‘ডিসকো লোকো থ্রিডি’ নামের একটি গেইম বানাতে টিকটক মিনি গেইম নির্মাতা জিঙ্গার সঙ্গে
জোট বেঁধেছে বলে খবর এসেছিল।
রয়টার্স বলছে,
আপাতত মিনি গেইম দিয়ে শুরু করলেও টিকটকের গেইমিং পরিকল্পনা আরও সুদূরপ্রসারী। এক্ষেত্রে
বাইটডান্সের নিজস্ব লাইব্রেরি থেকেই গেইম নেবে টিকটক।
টিকটকের চীনা
সংস্করণ দৌইনে গেইমিং সেবা যোগ হয়েছে ২০১৯ সালেই। টিকটকে নতুন গেইমগুলোর শুরু থেকেই
বিজ্ঞাপন থাকতে পারে। বিজ্ঞাপনী আয় বাইটড্যান্স ও গেইমের নির্মাতারা ভাগাভাগি করে নিতে
পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।