২০১৬-১৭ মৌসুমে সিটির কোচ হন গুয়ার্দিওলা। এরপর থেকে তার হাত ধরে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ সহ দলটি জিতেছে আরও কয়েকটি ঘরোয়া আসরের শিরোপা। তবে দলটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দিতে পারেননি এই স্প্যানিশ কোচ।
বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন সিটি চলতি মৌসুমে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এখন পর্যন্ত সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। ৩৭ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। সমান ম্যাচে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর স্থানে আছে লিভারপুল।
শেষ রাউন্ডে জিতলেই গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতবে সিটি। অন্য ম্যাচের ফল পক্ষে এলে ড্র কিংবা হারলেও শিরোপা ধরে রাখতে পারে দলটি।
লিগে দারুণ খেলে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরেকবার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সিটিকে। নাটকীয়তায় ভরা সেমি-ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৬-৫ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি।
সিটি যদি রিয়াল বাধা পার করতে পারত, তাহলে আগামী ২৮ মে-এর ফাইনালে তাদের সঙ্গে দেখা হত লিগ শিরোপার লড়াইয়ে থাকা লিভারপুলের। ফাইনালে না যেতে পেরে হতাশ হলেও গুয়ার্দিওলা লিগে গত কয়েক মৌসুমে নিজেদের ধারাবাহিক সাফল্যকে দেখেছেন বড় করে।
“অনেক সপ্তাহে, অনেক ম্যাচে আমরা চোট সমস্যায় ভুগেছি, ভালো ও মন্দ মুহূর্তে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেছি। (লিগে) গত কয়েক বছরে সাফল্য তারই সাক্ষ্য দেয়। ওই বছর (২০১৯-২০) লিভারপুল অপ্রতিরোধ্য ছিল এবং আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। বাকি মৌসুমগুলোতে আমরা (শিরোপার) লড়াইয়ে ছিলাম। যখন আপনি প্রিমিয়ার লিগের জন্য লড়াই করবেন, তখন এটা উপলব্ধি করবেন যে আপনি ড্রেসিংরুমের পরিবেশ উপভোগ করছেন।”
“যখন জিততে থাকি, তখন আমরা ভালো অনুভব করি, এটা অনুশীলনের জন্য একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করে। এটি (প্রিমিয়ার লিগ) এফএ কাপের মতো একটি ম্যাচ নির্ভর নয়… এখানে প্রতিদিন লড়তে হয়, এটা চমৎকার।”
আগামী রোববার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে খেলবে সিটি। শিরোপা নিশ্চিত করতে জিততে হবে তাদের। লিভারপুলে যে ফর্মে আছে এবং যেভাবে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছে, তাতে কিছুটা হলেও স্নায়ুর চাপে ভোগার কথা সিটির।
গুয়ার্দিওলা অবশ্য চাপ না নিয়ে ভিলার বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘আর দশটা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের মতো’ দেখার পক্ষে।
“উদ্বিগ্ন,নার্ভাস? কোনো সুযোগ নেই। আমরা যদি গোল হজম করি বা সমস্যায় পড়ি, তাহলে আবার চেষ্টা করতে হবে এবং সেটা চালিয়ে যেতে হবে। এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবেলা করার এটাই সর্বোত্তম উপায়। এমনটা ভাবা নয় যে, ‘আমরা হেরে গেলে কী হবে?’”