এবারের আইপিএলে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি জয়ের বিকল্প ছিল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন কোহলি। দলের জয়ে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান।
গুজরাটের ১৬৯ রান তাড়ায় ৫৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ৮ চার ও ২ ছক্কায় সাজান আসরে নিজের দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসটি।
এই ম্যাচের আগে ১৩ ম্যাচে ১৯.৬৭ গড় আর ১১৩.৪৬ স্ট্রাইক রেটে কোহলির রান ছিল কেবল ২৩৬। ফিফটি যে একটি করেছিলেন, সেটিও দলের কাজে আসেনি। বরং তার সেই মন্থর ইনিংস দলের পরাজয় ত্বরান্বিত করেছিল কি-না, উঠেছিল সেই প্রশ্নও।
অবশেষে দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় আসরে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলেন কোহলি। ম্যাচ সেরা হয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ব্যাট হাতে ছন্দ ফিরে পেতে অনেক পরিশ্রম করার কথা।
“আসলেই আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। গতকাল (বুধবার) নেটে টানা ৯০ মিনিট ব্যাটিং করেছি। নিজের মধ্যে কোনো সংশয় রাখতে চাইনি। প্রতিটি বল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নিতে চেয়েছি। ৯০ মিনিট ব্যাটিং করার পর সেটা অর্জন করেছি। এরপর আমি নির্ভার হয়ে এই ম্যাচ খেলতে এসেছি।”
নিজের ব্যক্তিগত ব্যর্থতার চেয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে না পারা বেশি পোড়াচ্ছে, আরও একবার এই কথা বললেন কোহলি। আপাতত গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি তাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
“এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল। দলের জন্য তেমন কিছু করতে না পারায় আমি হতাশ ছিলাম, আর এটাই আমাকে বিব্রত করছিল, কোনো পরিসংখ্যান নয়। আজকের ম্যাচে আমি দলে অবদান রাখতে পেরেছি। দলকে ভালো অবস্থায় নিতে পেরেছি।”
আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডও তার। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশার চাপ তার ওপর একটু বেশিই। কঠিন সময়েও নিজেকে সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন বেঙ্গালোরের সাবেক অধিনায়ক।
“পূর্বে পারফরম্যান্স করলে একটা প্রত্যাশা তৈরি হবেই। এখানে দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক রাখতে হবে। প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য অনেক সময় সঠিক প্রক্রিয়া ভুলে যাই আমরা।”
আপাতত পয়েন্ট টেবিলে সেরা চারে আছে বেঙ্গালোর। প্রাথমিক পর্বের সবগুলো ম্যাচ খেলে টেবিলে চতুর্থ স্থানে থাকা দলটির পয়েন্ট ১৬। সেরা চারে জায়গা পেতে হবে অবশ্য তাদের কামনা করতে হবে দিল্লি ক্যাপিটালসের হার।