বাংলাদেশের সমস্ত শেয়ারের
জিম্মাদার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিডিবিএল)
চিঠি দিয়ে বৃহস্পতিবার এই নির্দশনা জানিয়ে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সেখানে বলা হয়, দুর্নীতি
দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পি কে হালদারের শেয়ার ফ্রিজ করার বিষয়ে আদালতের
আদেশ রয়েছে। সে অনুযায়ী, “পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ কোম্পানির শেয়ারসমূহ” অবরুদ্ধ করতে হবে।
দুদকের
করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এবং মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ
আদালত গত ১৩ এপ্রিল পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার ওই আদেশ
দেয়।
কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে দুই বছর আগে
বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে
ধরা পড়েন।
সেখানেও তার এবং তার সহযোগীদের
অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে ভারতের আর্থিক খাতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
(ইডি)।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক পি কে হালদার রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডেও একই পদ সামলেছিলেন।
এ ছাড়াও তিনি নামে-বেনামে নানা
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাট করে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার
কোটি টাকার বেশি অর্থ লোপাটর অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। এর মধ্যে ৬ হাজার ৮০ কোটি
টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা এই অর্থ জব্দ করেছে দুদক।