গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার
সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার
খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, “কবিরের বিরুদ্ধে তার এলাকায়
জমি দখল, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ছয়টি মামলা আছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের ওপর হামলার
ঘটনা স্বীকারও করেছেন।”
র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে
বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া এলাকার পাহাড়ী এলাকায় দুই পক্ষের
গুলিবিনিময়ের পর কবিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় কফিল নামে তার এক
সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ ছাড়া গ্রেপ্তার অভিযানে পুলিশের উপর হামলায়
ব্যবহৃত দা, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, তিন রাউন্ড গুলি, তিনটি খোসা, দুইটি হাসুয়া, একটি
ছুরি ও ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান মঈন।
কবিরের বাড়ি লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকায়। গত ১৫ মে
সকালে এক মামলায় তাকে ধরতে বাদীকে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। কবির তখন দা নিয়ে পুলিশ
সদস্যদের ওপর হামলা করেন।
তার দায়ের
কোপে লোহাগাড়া থানার কনস্টেবল মো. জনির বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাদী
এবং অন্য এক কনস্টেবল আহত হন।
এ ঘটনায়
পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করে এবং ঘটনার দিন রাতেই বান্দরবানের লামা উপজেলার
পাহাড়ী এলাকা থেকে তার স্ত্রী রুবি আক্তারকে গ্রেপ্তার করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।

পরে
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের এক বার্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবিরকে গ্রেপ্তারের কথা
জানানো হয়। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাবের
মুখপাত্র মঈন।
তিনি বলেন, ঘটনার
পরই পালিয়ে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপন ছিলেন কবির। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
নজরদারি টের পেয়ে সেখান থেকে পুনরায় লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া এলাকার পাহাড়ী
এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, যেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, কবিরকে গ্রেপ্তারে র্যাব
সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৭ এর সদস্যরা ওই পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়।
“সেখানে দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ের পর গুলিবিদ্ধ
অবস্থায় কবির এবং তার অপর এক সহযোগী কফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে যে দা পাওয়া গেছে,
সেটি পুলিশ কনস্টেবল জনিকে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানা হয়।
কবিরের বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে তিনটি
মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে মঈন বলেন, “কবিরের সঙ্গে গ্রেপ্তার কফিল তার প্রশ্রয়দাতা
এবং মাদক কারবারী।”
তাদের জ্ঞিাসাবাদের বরাতে র্যাবের মুখপাত্র
বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে কফিল চট্টগ্রামে বিক্রি করতেন এবং তার বিরুদ্ধেও মাদক,
মারামারি ও হত্যাচেষ্টাসহ ছয়টি মামলা আছে।
আরও খবর:
পুলিশের কবজি কেটে নেওয়া লোহাগাড়ার কবির র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার