ক্যাটাগরি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ‘দুয়েক মাসের’ মধ্যে: সিইসি

শুক্রবার
ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন,
“আমরা নতুন একটি কমিশন। আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা যে একটি অংশগ্রহণমূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হউক। গণতন্ত্র বিকশিত হউক। ভোটের মাধ্যমে একটা দায়িত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হউক। পার্লামেন্টে
তর্কবির্তকের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত হউক।

“বিএনপিসহ
সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে অচিরেই সংলাপে বা আলোচনায় বসার জন্য আহবান জানানো হবে। তবে ঠিক
করে বলতে পারছি না; হয়ত ২/১ মাসের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে পারি।”

ইভিএমের
সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও ইসি কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইভিএমের সক্ষমতা
কতটুকু দরকার, আরও কী কী করা যায়, আমরা আরও কিছু সভা-টভা করব। এরপর আমরা ইভিএমের সক্ষমতা
বৃদ্ধির জন্য কাজ করব। আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।”

জাতীয় সংসদের
৩০০ আসনে ইভিএমের সক্ষমতা সম্ভব কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন বলা সম্ভব নয়।
নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

সিইসি বলেন,
“রাজনীতিবিদরা প্রায় বলে থাকেন – আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি! আমি
অনেক রাজনীতিবিদকে বলেছেলিাম, এই কথা এভাবে না বলে, আপনি তো বলতে পারেন, আমরা যদি সরকারের
দায়িত্বে যেতে পারি।”

‘ক্ষমতা’
কথাটার মধ্যে একটা অহংবোধ আছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “ক্ষমতা নয়, এটা দায়িত্ব, ক্ষমতা
বলে কোনো কিছু নেই। আমরা যদি ক্ষমতাকে দায়িত্বের অর্থে বুঝতে ও পালন করতে পারি তাহলে
আমাদের দায়িত্ববোধ ও সাংস্কৃতিক মনস্তত্ত্ব আরও উজ্জীবিত হবে।”

অনুষ্ঠানে
উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ
আজকে শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ম্যান্ডেট। ভোটার তালিকা
প্রণয়নের জন্য আমরা তিন ধরনের তথ্য গ্রহণ করছি। এই ভোটার তালিকা দিয়েই কিন্তু আগামী
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; তাই এই ভোটার তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সরকারের
নির্বাহীরা নির্বাচন কমিশনকে ‘সহযোগিতা করতে বাধ্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা
অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ করবেন। ট্রান্সজেন্ডার ও নিষিদ্ধ
পল্লির মা বোনদেরও কিন্তু এই তালিকায় আনার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। কীভাবে নিয়ে
আসবেন সে বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণও দিয়েছি।”

হালনাগাদ
কার্যক্রমে সাভারে ৩৮০ জন তথ্য সংগ্রহকারী, ৭৬ জন সুপারভাইজার, সরকারি কর্মকর্তা ও
রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজ করবেন।

তিনি বলেন,
“সংবিধানে বলা আছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। আমরা মনে করি এই
কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং আমরা জাতিকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা
উপহার দিতে পারব।”

ঢাকা জ্যেষ্ঠ
জেলা নির্বাচন অফিস ও সাভার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেলুন ও পায়রা
উড়িয়ে হালনাগাদ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন সিইসি।

নির্বাচন
কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বউপস্থিত ছিলেন
জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার মুনির হোসাইন খান, ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, জেলা
পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার
পৌর মেয়র আব্দুল গণি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।