শুক্রবার নিউ ইয়র্কের
অ্যাটর্নি জেনারেলের এক মুখপাত্র এ
কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ব্যাংক
ও কর
কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্তিকর আর্থিক তথ্য দিয়েছিল
কিনা তা
নিয়ে অ্যাটর্নি
জেনারেল লেটিসিয়া
জেমসের তদন্তে
অসহযোগিতার দায়ে গত মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
আদালত অবমাননার
যে আদেশ
হয়েছে, তা
তুলতে যে
তিনটি পদক্ষেপ
নিতে হবে
জরিমানার অর্থ
পরিশোধ তার
একটি বলে
জানিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স।
জেমসের চাওয়া অনুযায়ী
প্রয়োজনীয় আরও কাগজপত্র দিতে ট্রাম্প
পূর্ণাঙ্গ তল্লাশি চালিয়েছিলেন কিনা, তা
স্পষ্ট না
হওয়ায় বিচারক
আর্থার এনগোরোন
গত মাসে
সাবেক মার্কিন
প্রেসিডেন্টকে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী
সাব্যস্ত করেন
ও প্রতিদিন
১০ হাজার
ডলার করে
জরিমানা করেন।
নথিপত্র অনুসন্ধানের বিস্তারিত
জমা দেওয়ার
পর ১১
মে এনগোরোন
শর্তসাপেক্ষে ট্রাম্পের উপর থেকে ওই
আদালত অবমাননার
দায় তুলে
নেন। তবে জরিমানার
এক লাখ
১০ হাজার
ডলার ২০
মে’র
মধ্যে পরিশোধ
না করলে
ট্রাম্পকে ফের জরিমানা করা হবে
বলেও বিচারক এনগোরোন সেসময় জানিয়েছিলেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের
কার্যক্রমের নথি নিয়ে তৃতীয়পক্ষের একটি
কোম্পানির পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা এবং নথিপত্র
বিষয়ে ট্রাম্পের
কর্মকাণ্ড নিয়ে তার কর্মীদের এফিডেভিটও
চান তিনি।
শুক্রবার স্থানীয় সময়
বিকাল পর্যন্ত
ট্রাম্প জরিমানার
অর্থ পরিশোধ
করলেও পরের
শর্তগুলো পূরণ
করেননি বলে
জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখপাত্র।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের
আইনজীবী এলিনা
হাব্বার মন্তব্য
চাওয়া হলেও
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাতে সাড়া
দেননি।
লেটিসিয়া জেমস বলছেন,
তার তদন্তে
বিশ্বজুড়ে হোটেল, গলফ কোর্স ও
অন্যান্য অনেক
রিয়েল এস্টেট
ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ট্রাম্প অর্গানাইজেশন
যে কর
ছাড় ও
অনুকূল ঋণ
সুবিধা পেতে
তাদের সম্পদের
মূল্য সম্পর্কে
ভুল তথ্য
দিয়েছিল তার
প্রমাণ মিলেছে।
রিপাবলিকান ট্রাম্প শুরু
থেকেই কোনো
ধরনের অন্যায়
করার কথা
অস্বীকার করে
আসছেন। ডেমোক্র্যাট জেমসের
তদন্তকে ‘রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’
বলেও অভিহিত
করেছেন তিনি।
ট্রাম্প তাকে আদালত
অবমাননায় দোষৗ
সাব্যস্ত করে
যে রায়
হয়েছে তার
বিরুদ্ধে উচ্চ
আদালতে আপিলও
করেছেন, ওই
আপিলের রায়
হওয়া পর্যন্ত
ট্রাম্পের দেওয়া জরিমানার অর্থ অন্য
একটি অ্যাকাউন্টে
জমা রাখা
হচ্ছে।