ক্যাটাগরি

কলকাতায় ২-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে বসুন্ধরা কিংস

কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে শনিবার এএফসি কাপে ২-০ গোল
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে কিংস। দুটি গোলই তারা হজম করেছে রক্ষণের মহাভুলে।

কিক অফের একটু পর শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। দমকা বাতাসের তোড়ে
উড়ে যায় বিলবোর্ড, ব্যানার। সেগুলো গুছিয়ে নিয়ে ফের বৃষ্টির মধ্যে খেলা শুরু হলেও পরে
ভারী বর্ষণের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। বাধ্য হয়ে খেলা স্থগিত রাখেন রেফারি। পরিস্থিতি
ভালো হওয়ায় প্রায় ঘণ্টা পর ফের ম্যাচ শুরু হয়।

কিক অফের পরপরই দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল কিংসের দরজায়।
প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের ভুলে বক্সের ঠিক ওপরে বল পেয়ে যান মিগেল ফিগেইরা দামাশেনো। চিনেডু
ম্যাথিউয়ের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট বাইরে
যায় পোস্ট ঘেঁষে।

এরপরই শুরু হয় ঝড়ো বৃষ্টি। তারপরও খেলা চলছিল। একাদশ মিনিটে
বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর খেলা
ফের শুরু হয় কিংসের আধিপত্য দিয়ে। কিন্তু বারবার দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

অষ্টাদশ মিনিটে রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর ফ্রি কিকে বল জটলার
ভেতর দিয়ে নিচু হয়ে ড্রপ খেয়ে দূরের পোস্টে লেগে ফিরে। গোলমুখে থাকা কাজী তারিক রায়হান
হেড করতে পারলেও হতে পারত গোল।

২১তম মিনিটে মোহনবাগানের এক ডিফেন্ডার হেডে বল ক্লিয়ার
করেন। বল বাতাসে ভেসে থাকতেই বক্সের বেশ বাইরে থেকে রিমন হোসেনের দূরপাল্লার ভলি আবারও
পোস্টে প্রতিহত হয়।

চার মিনিট পর রক্ষণের অমার্জনীয় ভুলে গোল হজম করে কিংস।
সতীর্থের লং পাস ধরলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ক্রিস্টিয়ান কোলাসো। খালিদ শাফিই শুরুতে
ব্যর্থ হওয়ার পর ক্লিয়ার করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিশ্বনাথ ঘোষ। শট নিতে গিয়ে ভারসাম্য
হারিয়ে পড়ে যান এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। সহজ সুযোগ প্লেসিং শটে কাজে লাগান কোলাসো।

৩৩তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিংস। রক্ষণ
ছেড়ে তারিক, বিশ্বনাথ, শাফিইরা তেড়েফুঁড়ে উপরে উঠে যান। সুযোগে জনি কোয়াকে নিজেদের
অর্ধ থেকে থ্রু পাস বাড়ান কোলাসোর উদ্দেশে। ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বিনা বাধায় বল
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে কাটিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

গত বুধবার মাজিয়া স্পোর্টিস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের
বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে গ্রুপ পর্বের পথচলা শুরু করে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন কিংস। ব্যবধান
গড়ে দেওয়া একমাত্র গোলটি করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড মারোং। উদ্বোধনী দিনেই গোকুলাম কেরালার
কাছে মোহনবাগান ৪-২ গোলে হারে।