ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ‘সিবাম’ খুব বেশি
নিঃসরণ হলে ত্বক তৈলাক্ত হয়। এই ধরনের ত্বকে লোমকূপ সহজেই বদ্ধ হয়ে যায় ফলে আরও সিবাম
নিঃসরণ করে। ফলে দেখা দেয় ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস-সহ নানান ত্বকের সমস্যা।
ব্যাঙ্গালুরুতে অবস্থিত ‘আরা স্কিন ক্লিনিক’য়ের
ত্বক পরামর্শক এবং কসমেটোলজিস্ট ডা. সোনাক্ষি সুনিল কুমার বলেন, “ত্বক প্রাকৃতিকভাবে
কতটা তেল উৎপন্ন করে তার ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি বংশগতি, মানসিক চাপ,
খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের হরমোনের ওঠা নামার উপর নির্ভর করে থাকে।”
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে
তৈলাক্ত ত্বক পরিচর্যার বেশ কয়েকটি পন্থাও দিয়েছেন তিনি।
ক্লিঞ্জিং: প্রতিদিন
সকাল, সন্ধ্যা ও শরীরচর্চা পরে অ্যালকোহল ও তেল মুক্ত ফোমিং ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো
মতো ধোয়া উচিত।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড,
বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড বা নিয়াসিনামাইড ইত্যাদি উপাদান সমৃদ্ধ ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা উপকারী।
তবে এসব উপাদান ব্যবহারের সময় ত্বক স্ক্রাব
ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বকে তেলের নিঃসরণ বাড়তে পারে ও জ্বলুনি সৃষ্টি হতে পারে।
ময়েশ্চারাইজার: ত্বক তৈলাক্ত হলেও এর আর্দ্রতা রক্ষা করা জরুরি। তাই তেল মুক্ত এবং নন-কমেডোজেনিক
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
সুরক্ষা: ত্বক
ভালো রাখতে ঘরে অথবা বাইরে থাকা অবস্থায় সান্সক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সূর্যালোক ত্বকে
বলিরেখা, বয়সের ছাপ ও ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টি করে।
ত্বকে ব্রণ ও ব্রেক আউট কমাতে জিংক অক্সাইড,
টিটানিয়াম ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ এবং সুগন্ধি ও তেল মুক্ত সানব্লক ব্যবহার করা উচিত।
ভারী মেইকআপ না করা: তেলহীন, পানি বা জেল ভিত্তিক প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। রাতে
ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেইকআপ তুলে নিতে হবে।
মুখে হাত না দেওয়া: যদিও চোখে মুখে হাত দেওয়ার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তবে এমনটা করা মুখের
তেল ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়া সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়। ফলে সব সময়ই মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।
চুলের যত্ন
মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে ও সেখানে ময়লা
ও জীবণু জমে থাকে। তাই নিয়মিত চুল ধোয়া উচিত।
প্রতিদিন বালিশের কভার বদল করা: দিনে কমপক্ষে তিনবার বালিশে মাথা দেওয়া হয়। একই বালিশের কভারে
রাতের পর রাত ঘুমালে সেখানে মুখের ত্বকের তেল ও ব্যাক্টেরিয়া লেগে থাকে। ফলে দেখা দেয়
ব্রণ।
তাই প্রতিদিন বালিশের কভার পরিবর্তন করা
উচিত।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও আর্দ্র থাকা: প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান দেহের বিষাক্ত উপাদান বের
করে দিতে এবং পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো
রাখতে সহায়তা করে।
তবে ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হলে অথবা ব্ল্যাক
হেডস বা ব্রণের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন