শনিবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতি নদীর তীরে কেমিক্যাল
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা জানান।
এই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রত্যক্ষভাবে ৮০ হাজার
এবং পরোক্ষভাবে সাড়ে ৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মন্ত্রণালয়ের এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিসিক
কেমিক্যাল শিল্পপার্ক, বিসিক মুদ্রণ শিল্পপার্ক, বিসিক হালকা প্রকৌকল ও বৈদ্যুতিক
পণ্য উৎপাদন শিল্পপার্ক, বিসিক প্লাস্টিক শিল্প পার্ক বাস্তবায়িত হচ্ছে।
“এছাড়াও ইতোমধ্যে বিসিক
এপিআই শিল্পপার্ক বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে মুন্সীগঞ্জ জেলা মাল্টি সেক্টরাল শিল্প
হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।”
পুরান ঢাকার নিমতলীতে
অগ্নিকাণ্ডের নয় বছরের মাথায় চুড়িহাট্টা ট্রাজেডির পর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ‘বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সীগঞ্জ প্রকল্পের প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে
পাঠায় বিসিক।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
সিরাজদিখানের
কামারখান্দা, চিত্রকোট ও গোয়ালখালী মৌজায় ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি নিয়ে এ প্রকল্পের
আওতায় ২ হাজার ১৫৪টি প্লট তৈরি হচ্ছে। রাসায়নিক কারখানা ও গোডাউনের জন্য এসব প্লট
বরাদ্দ দেওয়া হবে।
২০২২
সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য ঠিক করে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ১
হাজার ৬১৫ কোটি ৭৩ টাকা।
বিসিক চেয়ারম্যান মুহা. মাহবুবুর রহমান বলেন, “বিসিক
কেমিক্যাল শিল্পপার্ক হবে পরিবেশবান্ধব শিল্পপার্ক। এখানে আধুনিক ফায়ার ফাইটিং
ব্যবস্থাসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে কেমিক্যাল শিল্প উদ্যোক্তাদের
প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।”
এসময় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত
সচিব নূরুল আলম, যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল আলম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ
রসুল, প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন