রোববার বোয়ালখালী উপজেলার
গোমদণ্ডী পাইলট স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় কারিগরি বিষয়ে পাঠদানের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনার পর ওই
স্কুলের কারিগরি শাখার শিক্ষক সাইফ হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) তারিক রহমান।
আর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে
পুলিশ মামলা নিচ্ছে না অভিযোগ করে উপজেলা সদরে অবস্থিত ওই স্কুলের গেইটে বিক্ষোভ করে
সড়কে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ কর্মকর্তা তারিক
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষক সাইফ হোসেন ওই শিক্ষার্থীকে পিটুনি দিয়ে
গুরুতর জখম করেছে।
“আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের
পক্ষ থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছে, মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।”
আহত ওই শিক্ষার্থীর
বড় ভাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা হাসাহাসি
করেছিল। সেজন্য শিক্ষক সাইফ হোসেন কয়েক জনকে বেত্রাঘাত করেন।
“প্রথমে হাতে পায়ে
বেত্রাঘাত করার পর সে বেঞ্চে বসতে গিয়েছিল। তখন ওই শিক্ষক আরও বেত্রাঘাত করে গুরুতর
আহত করে।”
স্থানীয়রা জানান, ওই
শিক্ষার্থীকে মারধরের পর তার শার্টে রক্তের দাগ লেগে যায়। এসময় সহপাঠীরা তাকে নিয়ে
স্কুল থেকে বের হয়ে সড়কে চলে আসে। ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে থাকা বোয়ালখালী
থানার এসআই সুমন কান্তি দে বলেন, সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল গেইটে কিছু শিক্ষার্থীর
জটলার মধ্যে একজনের শার্টে রক্ত দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিক্ষকের
পিটুনিতে আহত হওয়ার কথা জানায়। তখন আহত শিক্ষার্থীকে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নিয়ে যাই।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় সেন জানান, বেত্রাঘাতের কারণে
ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে
ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।