রোববার
বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার দিয়ে বলেছে, গ্রাহক পর্যায়ে দেওয়া ৪ শতাংশ সুদের
মধ্যে সুদ ক্ষতি হলে (যতটুকু আদায় সম্ভব হবে না) তা ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল
(সিএসআর) থেকে পূরণ করা যাবে।
আমদানি
বিকল্প ফসল চাষে উৎসাহ দিতে ২০০৬ সাল থেকে সরকার এ সুদ ভর্তুকি দিয়ে আসছে।
বর্তমানে
এসব ফসল চাষে ৮ শতাংশ সুদে গ্রাহককে দেওয়া ঋণের মধ্যে সরকার ৪ শতাংশ সুদ ভর্তুকি দেয়।
এতে ব্যাংক গ্রাহকের কাছে থেকে ৪ শতাংশ সুদ নেয় এবং অবশিষ্ট ৪ শতাংশ সুদ গ্রাহকের পক্ষে
সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি হিসেবে পেয়ে থাকে।
সার্কুলারে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘‘সুদ ক্ষতি বাবদ প্রদত্ত ৪% হিসাবে নেয়ার পরও কোনো ব্যাংকের
কিছুটা সুদ ক্ষতি হলে উক্ত অংশটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের করপোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি
(সিএসআর) এর আওতায় গণ্য করা হবে।’’
এতে
বলা হয়, “ডাল, তেলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা আমদানির জন্য প্রতি অর্থবছর প্রচুর
পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য আমদানি করা অনেক
ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।
‘‘আমদানি
ব্যয় হ্রাস এবং সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল হতে আমদানী
বিকল্প ফসলসমূহ (ডাল, তেলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা) চাষের জন্য ব্যাংকসমূহকে সরকারের
সুদ ক্ষতিপূরণ সুবিধার আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’’
গত
২০১১-১২ অর্থবছরের থেকে ডাল, তেলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে কৃষক পর্যায়ে সুদহার
৪% পুর্ননির্ধারণ করা হয়।
কোভিড-১৯
এর প্রভাব এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক
বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এগুলোর আমদানি মূল্যও বেড়েছে।
দেশে
ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী ফসলগুলোর চাষাবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা ‘অত্যন্ত’
প্রয়োজন বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাকুর্লারে
ঋণ বিতরণের পর আদায়ে নির্ধারিত মেয়াদের সঙ্গে গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস বাড়ানো যাবে বলে
বলা হয়েছে।
নির্ধারিত
মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে তার উপর রেয়াতি সুদ প্রযোজ্য হবে
না। মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়ার উপর ব্যাংকের নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদের হারই ঋণ বিতরণের
তারিখ হতে প্রযোজ্য হবে।
ঋণ
বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ সার্কুলারের সব শর্ত ও ব্যাংকের ঋণনীতিমালা অনুসরণ
করতে বলা হয় সার্কুলারে।
যেসব ফসলে সুদ ভর্তুকি
পাওযা যায়
ডাল জাতীয় ফসল: মুগ, মশুর, খেসারী,
ছোলা, মটর, মাষকলাই, অড়হর ইত্যাদি।
তেলবীজ জাতীয় ফসল: সরিষা, তিল, তিসি,
চীনাবাদাম, সূর্যমুখী, সয়াবিন ইত্যাদি।
মসলা জাতীয় ফসল: আদা, রসুন, পেঁয়াজ,
মরিচ, হলুদ, জিরা ইত্যাদি।
ও
ভুট্টা।