গত একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। এর আগের দিন শনিবার একজনের মৃত্যু হয়েছিল করোনাভাইরাসে।
তার আগে টানা ৩০ দিন কোভিডে মৃত্যুহীন ছিল বাংলাদেশ।
দেশে এ বছরের শুরুতে সংক্রমণ ও
মৃত্যু কমে আসার ধারায় গত ২০ এপ্রিল সর্বশেষ মৃত্যুর খবর এসেছিল। তারপর টানা ৩০ দিন
কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর
আসার পর আর কখনও টনা এক মাস কোভিডে মৃত্যুহীন থাকেনি বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার
সকাল ৮টা পর্যন্ত এক দিনে ৩ হাজার ৭৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়েছে। আগের দিন ১৬ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের
হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। একদিন আগে যা ছিল শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৩ জন। মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৮
জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন
২১৭ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৯৬৪ জন সেরে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর
সংখ্যা ২৩ হাজার ১৪১ জন। অর্থাৎ তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত এক দিনে শনাক্ত ২৯ জন নতুন রোগীর
মধ্যে ২৬ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রামের ১ জন, পাবনার ১ জন ও
ভোলার ১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম
সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে
গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১
সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের
সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে
এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২
কোটি ৭৩ লাখ।