ক্যাটাগরি

কোল্ডপ্লে’র জানা-অজানা

১৯৯৬ সালে ক্রিস মার্টিন, জনি বাকল্যান্ড, গাই ব্যারিম্যান ও উইল চ্যাম্পিয়নের গড়াএই ব্যান্ডকে একুশ শতকের সবচেয়ে ব্যবসাসফল হিসেবে ধরা হয়।

ইয়েলো, ক্লক, দ্য সায়েন্টিস্ট, স্পিড অফ সাউন্ড, ফিক্স ইউ, প্যারাডাইস, ভিভা লা ভিডা, স্কাই ফুল অফ স্টারস, হিম ফর দ্য উইকেন্ড ইত্যাদি অসংখ্য গানে মোহিত তাদের ভক্তকূল।

চিত্তাকর্ষক সুর, ক্রিস মার্টিনের গায়কী আর চমৎকার মঞ্চ পরিবেশনা নিয়ে শ্রোতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে দলটি।

সফল এই ব্যান্ড দল সব সময় প্রচারের আলোয় থাকলেও তাদের বিষয়ে অনেক কিছুই অনেকের অজানা।

শুরুতে নাম ছিল ভিন্ন

শুরুতে মূল ভোকালিস্ট ক্রিস মার্টিন এবং লিড গিটারিস্ট জনি বাকল্যান্ড ‘পেক্টোরালজ’ নামে এই রক ব্যান্ডটি গঠন করেন। কিন্তু বেজিস্ট গাই ব্যারিম্যান যোগদানের পর গ্রুপটি নাম বদলে হয়ে যায় ‘স্টারফিশ’। এরপর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফিল হারভি এবং ড্রামার-ভোকালিস্ট উইল চ্যাম্পিয়নের যোগদানের পর ব্যান্ডটি ‘কোল্ডপ্লে’ নাম নেয়। এই নামটি একজন ইউসিএল ছাত্র টিম ক্রম্পটনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল। তিনি তার নিজের ব্যান্ডের জন্য নামটি বাছাই করে বাতিল করেছিলেন, কারণ তার মনে হয়েছিল এই নামটি খুবই হতাশাজনক।  

ক্রিস মার্টিন গাইতে পারেন উল্টো দিক থেকেও

কোল্ডপ্লের ভোকালিস্ট ক্রিস মার্টিনকে একবার পরিচালক জেমি ট্রাভেসের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিওর জন্য কাজ করার সময় দ্য সায়েন্টিস্ট গানটি কীভাবে উল্টো দিক থেকে গাইতে হয়, তা শিখতে হয়েছিল। এমটিভির ভাষ্য, মার্টিন যে গানটি ঠিকঠাক গাইছিলেন সেই ধারণা তৈরি করতে স্বর প্রক্ষেপনে পেশীর ব্যবহার সম্পর্কে শিখেছিলেন।

হিট গান শিভার একবারেই রেকর্ড

প্যারাশুটসের কো-প্রোডিউসার, কেন নেলসন বলেছেন, শিভার গানটি মার্টিন মাত্র একবারে রেকর্ড করেছেন। ভক্তরা গভীরভাবে গানটি শুনে থাকলে বুঝতে পারবে যে মার্টিন শ্বাস টানছে এবং তার কণ্ঠস্বর ভেঙে আসছে। নিঃসন্দেহে এটি অনুপ্রেরণামূলক।

প্রথম গান প্রসাধনী নিয়ে

কোল্ডপ্লের লেখা ও পরিবেশন করা সর্বপ্রথম গানটি ছিল প্রসাধনী নিয়ে। অডে টু ডিওডরেন্ট শিরোনামের গানটি আসলে একটি রসিকতা হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, যা পরে হিট গানের তালিকায় উঠে যায়।

সোমবার মাংস খাওয়া থেকে বিরত

২০০৯ সালে গায়ক, গীতিকার, সুরকার পল ম্যাককার্টনির শুরু করা মিট ফ্রি মানডে ফুড ক্যাম্পেইনের সমর্থক ছিল কোল্ডপ্লে। ক্যাম্পেইনটি সপ্তাহে অন্তত এক দিন মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে। একজন নিরামিষাশী হিসেবে ক্রিস মার্টিনের সুপরিচিতি রয়েছে এবং পেটা নামে প্রাণী অধিকার সংস্থা থেকে তাকে ২০০৫ সালে বিশ্বের সেক্সিয়েস্ট ভেজিটেরিয়ান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

ইয়েলো গানটির পেছনের গল্প

ইয়েলো শিরোনামের গানটি এসেছে খুবই সাধারণ একটি উৎস ইয়েলো পেইজ থেকে। মার্টিনের ভাষ্যমতে, যখন তিনি তাদের অ্যালবাম প্যারাশুটের জন্য গানটি লিখছিলেন, তখন তিনি ফোন বুক দেখতে পান এবং অবশেষে তিনি তার নিকটতম বস্তু থেকে উৎসাহিত হয়ে ইয়েলো শিরোনামে থিতু হন।

ড্রামই বাজাতেন না চ্যাম্পিয়ন

এক সাক্ষাৎকারে চ্যাম্পিয়ন বলেন, তিনি কোল্ডপ্লে ব্যান্ডে যোগদানের আগে কখনও ড্রাম বাজাননি। ড্রাম ম্যাগাজিনকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমার জন্য কোল্ডপ্লে এবং ড্রামিং একইসাথে এসেছে।”

অনেক প্রত্যাখ্যান

বছরের পর বছর ধরে এই ব্রিটিশ ব্যান্ডটি কোকা-কোলা, গ্যাটোরেড ও গ্যাপ’র মত বড় বড় ব্র্যান্ডের অসংখ্য প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছে। একটি ব্র্যান্ড তাদের একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ইয়েলো গানটি ব্যবহার করার জন্য তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ সেধেছিল। তখন মার্টিনের উত্তর ছিল- “ আমরা যদি এভাবে গান বিক্রি করে দেই, তবে আমরা নিজেদের নিয়ে বাঁচতে পারব না।”

নিয়মিত মানবিক সহায়তায়

কোল্ডপ্লে নিয়মিত তাদের লভ্যাংশের ১৫ শতাংশ দাতব্য সংস্থায় দান করে। কথিত আছে, একবার শন পেনের আয়োজিত এক চ্যারিটি ইভেন্টে মার্টিন বাঙ্কসি’র শিল্পকর্ম চার লাখ ডলারে কিনে সাড়া ফেলেছিলেন মার্টিন।