রোববার ভোর রাতে
ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো
হয় বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান।
তারা হলেন- উপজেলার
দুলাল (৩০) ও মাসুদ ওরফে সাজু (৩২)।
এর আগে শনিবার বিকালে
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় দুলাল
(৩০), সাজু (৩২), মোহাম্মদ দুলাল (৩৫), আলমগীর হোসেন (৪০), হাফিজুর ইসলাম (৪৫) ও মো.
খগেনকে (৫০) আসামি করা হয়।
এদিকে স্কুলছাত্রীর
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাতে ওসি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাইভেট ও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় প্রায়ই স্কুলছাত্রীকে
পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন দুলাল। ১৬ মে সকাল ১০টায় স্কুলছাত্রীকে স্কুলের পথ
থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তুলে নেয় দুলাল ও তার সহযোগী অটোচালক সাজু।
মামলায় অভিযোগে
বলা হয়, পরে দুলাল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং সাজু, মোহাম্মদ দুলাল ও আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে
তা ধারণ করে রাখে। এ ঘটনা কাউকে বললে, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় হুমকি দেওয়া হয় এবং ছাত্রীকে
রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।
ছাত্রী বাড়িতে এসে
পরিবারকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু হাফিজুর ও মো. খগেন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মীমাংসার চেষ্টা
চালায়। তারা আলামত নষ্টেরও চেষ্টা করে।
ওসি আরও বলেন, ভিডিওটি
এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার বাদী বলেন,
“আসামিরা আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”