রোববার এক অভিনন্দন বার্তায়
তিনি বলেন, পারস্পরিক মূল্যবোধ, শ্রদ্ধা ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার
মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ক আরও গভীর
ও বিস্তৃতি পেয়েছে।
হান ডাক-সু দায়িত্বপালনকালে দুই বন্ধু দেশের বোঝাপাড়া
ও সহযোগিতার বন্ধন আরো দৃঢ় হবে বলেও শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “কোরিয়া প্রজাতন্ত্র
এখন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে
আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যার ফলে বাংলাদেশে
কোরীয় কোম্পানি এবং সংস্থাগুলোর উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “দুই দেশের
বর্তমান উন্নয়নের গতিপথ উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে অপার সম্ভাবনা তৈরি করে। এক দশকের
বেশি সময়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির
মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন কোরিয়ার মত অংশীদারদের জন্য প্রচুর সুযোগ দিচ্ছে।
“বাংলাদেশ সরকার দেশের আধুনিকায়ন
এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে অসংখ্য উদ্যোগ ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন
করছে।”
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত
করতে, অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিতে কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
অভিনন্দনবার্তায় শেখ হাসিনা
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হান ডাক-সুকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
জানান। এ ছাড়া তার সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার পত্রে কোরিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুখী জীবন ও সুস্বাস্থ্য এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের
বন্ধুপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সরকারি চাকরিতে ৪৪ বছরের ক্যারিয়ারে
বাম ও ডান- উভয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন হান ডাক-সু। তিনি ২০০৩ থেকে
২০০৮ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউন প্রশাসনের সময়ও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন।