শের-ই-বাংলায় সোমবার সকাল
১০টায় শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই মাঠে আগের ২২ ম্যাচের ১৯টিতেই হয়েছে ফল। ড্র
হওয়া তিন ম্যাচেই বড় প্রভাব ছিল বৃষ্টির।
২০০৮ সালে প্রথম কোনো
টেস্ট ড্র হয় মিরপুরে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ম্যাচের প্রথম তিন
দিন কোনো বল গড়ায়নি মাঠে। শেষ দুই দিন মিলিয়ে খেলা হয় ১৬৪.১ ওভার।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই
২০১৩ সালে ফের ড্র হয় মিরপুর টেস্ট। সম্ভাব্য ৪৫০ ওভারের মধ্যে খেলা হয় কেবল ৩০৩.৫
ওভার। প্রথম দুই দিনে এক সেশনের বেশি সময়ের খেলা ভেসে যায়। বৃষ্টির জন্য শেষ দিন কোনো
বল গড়ায়নি মাঠে।
সবশেষ ২০১৫ সালে দক্ষিণ
আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ড্র হয় মিরপুরে। সেবার প্রথম দিন খেলা হয় ৮৮.১ ওভার। পরের চার
দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
বিরূপ আবহাওযা বাগড়া না
দিলে মিরপুরে ফল হওয়াটাই তাই খুব স্বাভাবিক চিত্র। এই মাঠে ১৩ হারের বিপরীতে ৬ জয় রয়েছে
বাংলাদেশের। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। তিন ম্যাচেই হেরেছে দল,
এর একটি ইনিংস ব্যবধানে।
দেশের মাটিতে দ্বীপ দেশটির
বিপক্ষে আগের দুই সিরিজে চট্টগ্রামে ড্র করলেও ঢাকায় হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ।
এবার সুযোগ আছে চিত্র পাল্টে দেওয়ার। ম্যাচের আগের দিন রোববার শের-ই-বাংলায় মুমিনুল
বললেন, সেই ছবি আঁকছেন তিনিও।
“আমার কাছে মনে হয়, ভালো
একটা সুযোগ আছে আমাদের। চট্টগ্রাম টেস্টে কী হয়েছে সেগুলো চিন্তা না করে, এখন আমাদের
নতুন করে শুরু করতে হবে। কারণ আগেও অনেক সময় (প্রথম টেস্ট ড্র করে পরের ম্যাচে হেরে
গেছি)… ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকা টেস্টেও যদি দল হিসেবে খেলতে পারি,
তাহলে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।”
মিরপুরের চিরচেনা উইকেটই
আশা করছেন মুমিনুল। শঙ্কা কেবল আবহাওয়া নিয়ে। তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক, আরেকটি ফল
প্রসবা টেস্টই আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“মিরপুরে ফলাফল ছাড়া ম্যাচ
খুব কমই হয়। শেষ কবে ফল আসেনি বলা কঠিন। সবসময় ফল আসে। বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ, সঙ্গে
ব্যাটিংও। অবশ্যই আমরা পরিকল্পনা করি, কোন জিনিস নিয়ে কাজ করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি
থাকবে।”
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে
এরপর আর দুটি সিরিজ আছে বাংলাদেশের। একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানে।
অন্যটি ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে। চলতি চক্রে আরেকটি টেস্ট জেতার এটাই কি সেরা
সুযোগ মুমিনুলদের?
“আমার কাছে মনে হয়, সব সময়
সুযোগ থাকেই। আপনি মিরপুরে খেলেন বা দেশের বাইরে, সব সময় সুযোগ থাকেই। সুযোগটা কীভাবে
দেখেন, এটা হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। আমার কাছে মনে হয়, কন্ডিশন বা সব কিছুর কথা চিন্তা
করলে এটা একটা ভালো সুযোগ। সর্বোচ্চ সুযোগ না, তবে এটাও একটা সুযোগ। দেখতে হবে সুযোগটা
আপনি কীভাবে দেখছেন। সুযোগ সবসময় থাকে, এটা আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ সিরিজ জেতার।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট
সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। ২০১৭ সালের সফরে ১-১ ড্র করেছিল দল।