প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিআইডি
তিনি বলেছেন, “ভবিষ্যতে
মহামারী এলে
যেন সবার
ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণে তা মোকাবেলা করা
যায়, সেজন্য
অবশ্যই মহামারী
চুক্তি সম্পাদন
সম্পূর্ণ করতে
হবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
নীতি-নির্ধারণী
ফোরাম ৭৫তম
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সমাবেশে রোববার
উচ্চ পর্যায়ের
একটি বৈঠকে
একথা বলেন
শেখ হাসিনা।
তার ধারণ
করা ভিডিও
ভাষণ অনুষ্ঠানে
সম্প্রচার হয়।
সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় চলমান
সাত দিনের
এই সম্মেলনে
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার ১৯৪
সদস্য দেশের
প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছে। এবারের সম্মেলনের
স্লোগান হচ্ছে-
‘স্বাস্থ্যের জন্য শান্তি, শান্তির জন্য
স্বাস্থ্য’।
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে
রোগ নিরাময়ের
টিকার বৈশ্বিক
মালিকানার প্রস্তাব আবার তুলে ধরেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমি
মনে করি,
টিকাগুলোর মালিকানা হওয়া উচিৎ
বিশ্বের সব
মানুষের। কোটি
কোটি মানুষকে
টিকার আওতার
বাইরে রেখে
আমরা টেকসই
পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে পারি না।
“বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল
দেশে টিকার
উৎপাদন
বাড়াতে প্রযুক্তি
এবং প্রযুক্তিগত
জ্ঞান বিনিময়
করা দরকার।”
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে
সৃষ্ট রোগগুলোর
দিকে বাড়তি
মনোযোগ দেওয়ার
আহ্বানও জানান
শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমাদের
অবশ্যই উন্নয়নশীল
দেশগুলোতে বিস্তার লাভ করা অসংক্রামক
রোগগুলোর দিকে
মনোযোগ দিতে
হবে। বাংলাদেশ
চিকিৎসা
গবেষণাসহ বিভিন্ন
ধরনের রোগের
বিষয়ে সহযোগিতা
করতে প্রস্তুত।
“অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সকে
সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। ক্যান্সার
ও ডায়াবেটিস
চিকিৎসার
জন্য গবেষণা
এবং চিকিৎসার জন্য আমাদের
আরও বিনিয়োগ
করতে হবে।”
সড়ক দুর্ঘটনা,ডুবে
যাওয়া এবং
জনস্বাস্থ্যের অন্যসব ঝুঁকি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক
সহায়তা প্রত্যাশা
করেন তিনি।
কোভিড-১৯ মহামারী
এখনও যে
বিশ্বজুড়ে জীবন ও জীবিকার উপর
বিরূপ প্রভাব
রেখে চলছে,
তাও তুলে
ধরেন শেখ
হাসিনা।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে
আমরা স্বাস্থ্যসেবা,আর্থিক এবং
সামাজিক নিরাপত্তা
ব্যবস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে এই হুমকি
মোকাবেলা করতে
পেরেছি।”
মহামারী প্রতিরোধে জনগণকে
বিনামূল্যে টিকাদান, আর্থিক সহায়তাসহ বাংলাদেশ
সরকারের নেওয়া
নানা পদক্ষেপ
বক্তব্যে তুলে
ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সংক্রমণ
নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেন তিনি।
কোভিড টিকা দেওয়ার
জন্য কোভ্যাক্সকে
ধন্যবাদ জানান
শেখ হাসিনা।
দেশে সম্মুখসারির
সেবাদানকারীদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করেন।
শেখ হাসিনা বলেন,
“আমি আবারও
ভারত সরকার
এবং বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই ওষুধ
গবেষণা এবং
মান নিয়ন্ত্রণে
নেতৃত্ব দেওয়ার
জন্য।”
বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্য সেবা
নিশ্চিতে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা সংস্কারের উপর জোর
দেন বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ
সব বয়সের
মানুষের সুস্থ
জীবনযাপনের জন্য এসডিজি-৩ অর্জনে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৮ হাজারেরও
বেশি কমিউনিটি
ক্লিনিক ও
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা
স্বাস্থ্যসেবা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে
দিতে সক্ষম
হয়েছি। আমরা
সক্রিয়ভাবে শিশু পুষ্টি নিয়ে কাজ
করছি।”