তিনি বলেন, মূল্যস্ফ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং জরুরি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের উপর কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পেট্রোলের উপর থেকে আবগারি শুল্ক প্রতি লিটারে আট রুপি এবং ডিজেলের উপর থেকে আবগারি শুল্ক প্রতি লিটারে ছয় রুপি কমানো হয়েছে বলে এক টুইটে জানান তিনি।
এ সিদ্ধান্তের কারণে ভারত সরকার বছরে প্রায় এক ট্রিলিয়ন রুপি কম রাজস্ব পাবে বলেও ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি রাজ্য সরকারগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বর্তমানে রাজধানী দিল্লিতে প্রতি লিটার পেট্রোল ১০৫ দশমিক ৪১ রুপি এবং ডিজেল ৯৬ দশমিক ৬৭ রুপিতে বিক্রি হয়।
শুধু পেট্রোল বা ডিজেলেই নয় বরং সরকার রান্নায় ব্যবহৃত প্রতিটি গ্যাসের সিলিন্ডারে দুইশ রুপি ভর্তুকি দেবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী সিতারমন। যার ফলে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করা নারীদের জন্য মোদী সরকারের একটি কল্যান স্কিমের আওতায় দেশটির নয় কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হবেন বলেও আশা প্রকাশ করে তিনি।
বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষভাবে সরকারের সব অধিদপ্তরকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ করতে এবং সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে বলেছেন।”
গ্যাসের সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেয়ার ফলে বছরে সরকারের প্রায় ছয় হাজার ১০০ কোটি রুপি রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়বে।
9/12 Also, this year, we will give a subsidy of ₹ 200 per gas cylinder (upto 12 cylinders) to over 9 crore beneficiaries of Pradhan Mantri Ujjwala Yojana. This will help our mothers and sisters. This will have a revenue implication of around ₹ 6100 crore a year. #Ujjwala
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) May 21, 2022
জ্বালানির উপর কর কমানো ছাড়াও ভারত সরকার প্লাস্টিক পণ্য, লোহা এবং স্টিল তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমাবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। যাতে জনগণের হাতে এ জাতীয় পণ্য অপেক্ষাকৃত কম দামে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে রাজস্ব আয় কমে যাবে। যা আর্থিক উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থ বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ এ পদক্ষেপের কারণে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারত সরকার জিডিপির ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ঘাটতি পূরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল তা পূরণ নিয়েও সংশয় তৈরি হতে পারে।
আবার দ্রব্যমূল্যের চলমান ঊর্ধ্বগতিও মোদী সরকারের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনের আগে। এ বছর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধান সভা নির্বাচন হবে।
ভারতে কয়েক বছরের মধ্যে গত এপ্রিল মাসে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের দাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে এই মাসে একটি অনির্ধারিত পলিসি মিটিং করেছে, জুনে আরো একটি মিটিং হতে পারে।
অর্থনীতিবীদরা সতর্ক করলেও নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তার সরকারের নেয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বিশেষ করে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের কাছে জনগণ সব সময় সবার আগে।”
It is always people first for us!
Today’s decisions, especially the one relating to a significant drop in petrol and diesel prices will positively impact various sectors, provide relief to our citizens and further ‘Ease of Living.’ https://t.co/n0y5kiiJOh
— Narendra Modi (@narendramodi) May 21, 2022