এখন পর্যন্ত খেলা তিন টেস্টের ৫ ইনিংসে সব মিলিয়ে ৯০ বল করে উইকেটশূন্য মোসাদ্দেক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তার রেকর্ড খুব একটা আশা জাগানিয়া নয়। ৪২ ম্যাচে ৫২.১৭ গড় ও ৯২.২ স্ট্রাইক রেটে উইকেট কেবল ২৯টি।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন মোসাদ্দেক। এই সংস্করণে ব্যাটিংয়ে অবশ্য তার পারফরম্যান্স খারাপ নয়। ৪১ গড়ে মোট রান ১৬৪। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকেই খেলেছিলেন ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস।
স্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে খেলতেই পারেন মোসাদ্দেক। প্রথম শ্রেণির ৪২ ম্যাচের ৬৬ ইনিংসে ৫৫.৯৮ গড়ে তার রান ৩ হাজার ২৪৭। ১৩ ফিফটির পাশে ১১ সেঞ্চুরি, যার তিনটিতে ছুঁয়েছেন দুইশ।
মেহেদী হাসান মিরাজের পর নাঈমও ছিটকে যাওয়ায় ঢাকা টেস্টে মোসাদ্দেককে বিবেচনা করা হচ্ছে মূলত তার অফ স্পিনের জন্য। তার উপস্থিতিতে সোমবার শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্টে ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়বে নিশ্চিতভাবেই। তবে স্পিন বোলিংয়ে শক্তিও কমে যাবে।
এই ব্যাপারটা মুমিনুলের অজানা নয়। তাই দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের উপর বেশি নির্ভর করার কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে, মোসাদ্দেকই খেলবে? এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। হয়তো ওরই খেলার সম্ভাবনা বেশি।”
“আপনি যদি স্পিন বিভাগ দেখেন- তাইজুল গত এক-দুই বছর ধরে খুব ভালো বল করছে। সাকিব ভাই তো গত ম্যাচে খুব ভালো করেছেন। সাকিব ভাই, তাইজুল যেহেতু আছে, তাদের নিয়ে আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, কোনো সমস্যা হবে না।”
শ্রীলঙ্কার বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের দুই জন দিমুথ করুনারত্নে ও নিরোশান ডিকভেলা কেবল বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাদের বিপক্ষে সাকিব, তাইজুল বোলিং করতে পারবেন না এমন নয়। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অফ স্পিনার কিছুটা সুবিধা পানই।
অফ স্পিনার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও মোসাদ্দেকের শক্তির জায়গা বোলিং নয়। তবে মাথা খাটিয়ে বোলিং করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ কার্যকর তিনি। মুমিনুল মনে করেন, টেস্টে তাকে ব্যবহারে হতে হবে কৌশলী।
“মোসাদ্দেক যদি খেলে তাহলে হয়তো ওর ভূমিকা একটু ভিন্ন হবে। মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। তো এভাবেই এই পরিস্থিতি থেকে কাটিয়ে উঠতে হবে। মোসাদ্দেক যদি খেলে ওকে ভালোভাবে, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করাটা হবে গুরুত্বপূর্ণ।”