বিএনপির সহসভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী এবং দলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শনিবার রাতে নেতাকর্মীদের এই বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলন সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সবার জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫ জুনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সদ্যসাবেক মেয়র মো. মানিরুল সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিজাম উদ্দিন কায়সার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর স্বতন্ত্রভাবে ভোটে লড়তে একদিকে যেমন দুই নেতাই পদত্যাগের ঘোষণা দেন; ঠিক তেমনি দল থেকে তাদের চিরতরে বহিষ্কারের ঘোষণাও আসে।
সদ্যসাবেক মেয়র মো. মানিরুল সাক্কু
এর দুই দিন বাদে নেতাকর্মীদের ভোটের প্রচারে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, “বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এরপরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
“বিএনপির হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তের কারণে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পদ-পদবী ব্যবহার করে যারা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম হিসেবে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এতে আরও বলা হয়, তাই কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের সকল কার্যক্রমে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণায় অংশ না করার জন্য পরামর্শমূলক নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রথমবার এবং ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দলীয় প্রতীকে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু।
নিজাম উদ্দিন কায়সার
অপরদিকে এবারই প্রথম নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন নিজাম উদ্দিন কায়সার।
নির্বাচনে মেয়র পদের অন্য চার প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম।
ইমরান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের ছেলে। তিনি কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজল খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
এ ছাড়া কামরুল আহসান কুমিল্লা নাগরিক ফোরামে সভাপতি। তার রয়েছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা।
আরও পড়ুন:
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: সাক্কুর সম্পদ সবচেয়ে বেশি
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: সাক্কুর চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বেশি
কুমিল্লা সিটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ইমরানের প্রার্থিতা বৈধ
কুমিল্লা সিটি: ভোটে লড়তে দলীয় পদ ছাড়লেন বিএনপির কায়সার
সাক্কু-রিফাতের মনোনয়ন বৈধ, আটকে থাকলেন ইমরান
কুমিল্লা সিটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আফজল খানের ছেলে ইমরান
রিফাতকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’ হচ্ছে, অভিযোগ কুমিল্লা আওয়ামী লীগের
কুমিল্লায় ভোটের এক মাস আগেই মাঠে বিজিবি
কুমিল্লায় সোহেলের ওয়ার্ডে ভোটের মাঠে মুখোমুখি স্ত্রী ও ভাই
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র বেড়েছে
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল
কুমিল্লা সিটির প্রশাসকের দায়িত্বে সফিকুল ইসলাম
কুসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র নিলেন সাংসদ সীমা
কুমিল্লা সিটি ভোট: মেয়র পদে আলোচনায় যারা