রোববার সলঙ্গা থানা
যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ সরকার বাদী হয়ে বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি
দায়ের করেন। রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ সরকার আগের চাঁদাবাজির মামলার আসামি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনের মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজিজ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিরাজগঞ্জ
ডিবি পুলিশকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় নির্মাণাধীন
একটি বহুতল ভবন ভাংচুর ও চাঁদাবাজি মামলার বাদী স্কুল শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা এবং
তার বাবা ঘুড়কা ইউপির চেয়ারম্যান ও সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিল্লুর
রহমান সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদীর অভিযোগ,
শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা সলঙ্গা বাজারের ধান হাটায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ
করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন। এলাকার লোকজন তার নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা
ভেঙে দিয়েছে।
এ ঘটনায় জাকিয়া সুলতানা
গত সোমবার বাদী হয়ে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি রায়হান গফুর, সাধারণ সম্পাদক আতাউর
রহমান লাভু ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়,
পরবর্তীতে জাকিয়া সুলতানা উল্লেখিতদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ভিডিও তৈরি
তার ফেইসবুকে প্রচার করেন। ওই ভিডিওটি তার বাবা ঘুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান
সরকার তার ফেইসবুকে শেয়ার করেন।
এতে মামলার বাদীসহ
সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে বাদী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন বলে জানান।
আগের মামলায় অভিযোগ
করা হয়েছিল, সাড়ে ৩ শতক জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করার সময় সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদী জাকিয়া সুলতানার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন ঘটনাস্থলে
পৌঁছে ভেকু মেশিন দিয়ে বাদীর নির্মাণাধীন ভবনের সামনের অংশ ভেঙে ফেলেন।
এতে বাদীর ৫০ লাখ টাকার
ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।