সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আগের সপ্তাহেই
পরিচালনা পর্ষদের ওই বিষয়টি উঠে এসেছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে।
বছরে অন্তত চারবার সভায় বসে অ্যাপলের
পর্ষদ। কর্মীদের বাইরে শুধু পর্ষদের সদস্যরাই নতুন কোনো পণ্য দেখতে পারেন।
অ্যাপলের সর্বশেষ ম্যাক-এর সঙ্গে মিল
রাখতে উন্নতমানের প্রসেসর থাকতে পারে নতুন এই হেডসেটে। পাশাপাশি, হেডসেটে ভালো রেজুলিউশনের
পর্দাও থাকার কথা রয়েছে।
হেডসেটের জন্য ‘রিয়েলিটি অপারেটিং সিস্টেম
(আরওএস)’ নামে পরিচিত একটি সফটওয়্যার নিয়ে অ্যাপলের কাজ করার কথাও সংশ্লিষ্ট সূত্রের
বরাতে বলেছে ব্লুমবার্গ।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অগমেন্টেড’
ও ‘ভার্চুয়াল রিয়েলিটি’র সম্ভাব্য সকল উপাদানই থাকতে পারে নতুন এই হেডসেটে।
২০১৫ সালে ‘অ্যাপল ওয়াচ’-এর পর, সম্ভবত
এই প্রথম নতুন কোনো পণ্য আনছে অ্যাপল। ‘অ্যাপল ওয়াচ’ উন্মোচনের পর থেকেই নতুন এই হেডসেটের
কাজ চলছিল।
অ্যাপল নতুন হেডসেটটি উন্মোচনের পরিকল্পনা করছে
এ বছর শেষ নাগাদ অথবা আগামী বছরের কোনো এক সময়ে। ২০২৩ সাল নাগাদ হেডসেটটি মানুষের হাতে
পৌছাতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সিনেট।
অ্যাপল বিশ্লেষক মিং চি কুয়ো ধারণা করছেন, আগামী
১০ বছরের মধ্যে আইফোনকে এআর-এ রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে অ্যাপল।
এআর ও ভিআর বিষয়ে অ্যাপলের অভ্যন্তরীণ মত পার্থক্যের
কথা গত বছর প্রতিবেদনে লিখেছিল ব্লুমবার্গ। এ ছাড়া, অ্যাপলের পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তনেরও
আভাস দিয়েছিল প্রতিবেদনটি। এর মানে, প্রথমে ভিআর হেডসেট নির্মাণের পর এআর স্মার্ট গ্লাস
নিয়ে কাজ করবে অ্যাপল।
এই প্রসঙ্গে সিনেট অ্যাপলের মন্তব্য জানতে চাইলে
তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর মেলেনি।