ক্যাটাগরি

ওই সময় মাঠে থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত: বিসিবি সভাপতি

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে সোমবার টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৭ ওভারের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট।

বিসিবি সভাপতি তখন ব্যস্ত বাংলাদেশ সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের সঙ্গে নানা কর্মসূচিতে। সৌজন্য সফরে বাংলাদেশে আসা আইসিসি চেয়ারম্যান এ দিন সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।

শুরুর ওই বিপর্যয় কাটিয়ে মুশফিক ও লিটনের অসাধারণ জুটিতে বাংলাদেশ দিনটা নিজেদের করে নেয়। দিনশেষে বিসিবি সভাপতির মুখেও দেখা যায় হাসি। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আইসিসি সভাপতি গ্রেগ বার্কলেকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান বাংলাদেশ দলের খেলা নিয়ে শুরুতে হাসতে হাসতে বলেন, “হার্টের ডাক্তার দেখিয়ে নেই একটু, আগে কার্ডিওলজিস্টের কাছে যাই…।”

পরে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, দিনের প্রথম ঘণ্টার খেলা দেখে অস্বস্তি হয়েছিল কিনা। নাজমুল হাসান এবারও শুরু করেন মজার সুরেই।

‘ওই সময় থাকলে হার্ট অ্যাটাক হতো, আল্লাহর রহমত আমি ছিলাম না। আমি তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, “এই, কি অবস্থা খেলার?” আমি বললাম, ‘আপা, সাহস নেই দেখার। যতক্ষণ মাঠে না যাব, আমি শুনছি না।” মাঠে এসে লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে দেখলাম এই অবস্থা। তখন তো ন্যাচারালি একটা শক (পেলাম)। তবে যেভাবে মুশফিক ও লিটন ব্যাট করেছে, বিশেষ প্রশংসা ওদের প্রাপ্য। অবিশ্বাস্য…।”

বিপর্যয়ের মধ্যে দারুণ দুটি সেঞ্চুরি ও আড়াইশ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত নাজমুল হাসানের হৃদয়ে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে।

“সারা বাংলাদেশের দম আটকে যাচ্ছিল তো, আমার ধারণা। সেদিক থেকে বিরাট স্বস্তি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রথম দিনের খেলা গভীরভাবে অনুসরণ করছিলেন বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। লিটন ও মুশফিকের শতরানের খবর প্রধানমন্ত্রীর বার্তা থেকেই জেনেছেন নাজমুল হাসান।

“আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী, বিশেষ করে ক্রিকেট। আজকে তার মেডিকেল অ্যাপয়েনমেন্ট ছিল, তার পরও ঠিক করেছিলেন, আগে আইসিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবেন। আজকে অনেক সময় দিয়েছেন তিনি, অনেক আগ্রহ দেখিয়েছেন।”

“আজকে আমরা যখন হেলিকপ্টারে ফিরছিলাম, লিটন সেঞ্চুরি করল, যে মুহূর্তে সে সেঞ্চুরি করল, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ম্যাসেজ পাঠালেন, ‘লিটনকে অভিনন্দন।’ আমি শুরুতে দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম, গত টেস্টে লিটন অল্পের জন্য হাতছাড়া করেছিল (সেঞ্চুরি)। তার পর আপার আরেকটি ম্যাসেজ দেখলাম, ‘মুশফিককে অভিনন্দন।’ গ্রেগের (বার্কলে) জন্যও নিশ্চিতভাবে এটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আমরা এরকমই ক্রিকেটপ্রেমী জাতি।”