মারা যাওয়া দুজনই পুরুষ, দুজনই
ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তাদের একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে অন্যজনের
৬০ বছরের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এক দিনে ৪ হাজার ৬৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জন নতুন
রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ২৯ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।
রোববার করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু
হয়নি। তার আগের দিন একজনের মৃত্যু হয়েছিল এ ভাইরাসে। এর আগে টানা ৩০ দিন কোভিডে
মৃত্যুহীন ছিল বাংলাদেশ।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। একদিন আগে যা ছিল শূন্য দশমিক ৭৮
শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৪ জন। মৃত্যুর মোট সংখ্যা বেড়ে ২৯
হাজার ১৩০ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন
১৯৩ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ১ হাজার ১৫৭ জন সেরে উঠলেন।
নতুন শনাক্ত ৩১ রোগীর মধ্যে ২৪
জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়া জয়পুরহাটে দুইজন এবং ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ,
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
গত ১৬ থেকে ২২ মে দেশে করোনাভাইরাসে ২২১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়, আগের সপ্তাহে এই
সংখ্যা ছিল ২১৩ জন। অর্থাৎ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ জন।
গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসে
একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের তিন সপ্তাহে কোভিডে মৃত্যু ছিল শূন্য।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম
সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের
মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে
এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত
হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত
ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৫৬ লাখ।