রোববার নোয়াখালী জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত রাশেদ ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মাজার এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফেনী শাখার ক্যাশিয়ার ছিলেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক রাশেদকে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বলে নোয়াখালী দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম জানান।
রায় ঘোষণার পর রাশেদকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বরাতে আবুল কাশেম বলেন, রাশেদ ফেনী শাখায় সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে থাকাকালীন গ্রাহক রিজিয়া সুলতানার হিসাবে জমা রাখতে প্রথমে ৯ লাখ ও পরে ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরে রিজিয়াকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ দিলেও, পুরো ১৭ লাখ টাকা একাই আত্মসাৎ করেন রাশেদ।
ফেনীতে গ্রাহকের টাকা ‘আত্মসাৎ’, সেই ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক রেহানা আক্তার বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল রাশেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মে ফেনী শহরের মিজান রোড থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলাটি তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর তৎকালীন উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রাশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।