জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান,
গত ৮ মে জেলার মধুখালী উপজেলার জাহাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান
শিক্ষক মো. হাতেম মোল্লার (৬০) ১০ লাখ টাকা খোয়া যায়।
হাতেম ওই দিন ফরিদপুর পোস্ট অফিস থেকে ১০ লাখ টাকা
তুলে লোকাল বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গিয়ে তিনি দেখতে পান তার
ব্যাগের চেইন খোলা; টাকা নেই। এরপর দ্রুত কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির
বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন তিনি।
জামাল বলেন, মামলার পর এসআই মাসুদ ফকির তদন্ত শুরু
করেন। তাকে সহযোগিতা করেন এসআই মো. শামীম হাসান। পরে দুই কর্মকর্তা পোস্ট অফিসের সিসিটিভি
ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সন্দেহভাজনদের করেন। তারা রোববার রাতে সদর উপজেলার
ডোমরাকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার
করেন। জাহিদুলের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে জাহিদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর উপজেলার
কবিরপুর গ্রামের আফসার উদ্দিন মোল্লার ছেলে আবুল হোসেনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বাকি পাঁচ লাখ টাকা।
চুরির ঘটনায় তিন ব্যক্তি জড়িত জানিয়ে পুলিশ
কর্মকর্তা জামাল বলেন, অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম
প্রকাশ করা হচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেন, তারা আন্তঃজেলা
চোর ও পকেটমার চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ কাজে জড়িত। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায়
অভিনব কায়দার চুরি করে থাকে। বিশেষ করে সরকারি পোস্ট অফিস, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
আসা বয়স্ক নারী ও পুরুষদের টার্গেট করে বিভিন্ন কায়দায় চুরি করে তারা।
উদ্ধার করা টাকা আদালতের মাধ্যমে হাতেম মোল্লাকে
ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা জামাল পাশা।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে
সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। সেখানে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন
রঞ্জন সরকার, কোতোয়ালি থানার ওসি মো. এমএ জলিল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ
ফকির এবং এসআই মো. শামীম হাসান ছিলেন।