ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব বলেন, রোববার বিকেলে থেকেই মাদি অজগরটি কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে থাকে। ছেড়ে দেয় খাওয়া-দাওয়া।
“এরপরই ধারণা করছিলাম, সাপটি ডিম দেবে। সোমবার সকালে কুণ্ডলীর ভিতরে ডিম দেখতে পাই।”
তিনি আরও জানান, ডিমের সংখ্যা গণনা করা যায়নি। তবে, ধারণা করা যায় ৩৫ থেকে ৪০টি ডিম হবে।
এর আগের চারবারে অজগরটি শতাধিক বাচ্ছা ফুটিয়েছে। সেই বাচ্ছাগুলো লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, মাদি অজগরটি কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। কুণ্ডলীর ভেতরে অনেকগুলো সাদা ডিম। কুণ্ডলীর বাইরেও রয়েছে দুটি। পাশেই কড়া পাহাড়ায় রয়েছে পুরুষ অজগরটি।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, “অজগরটি ৬০ দিন এভাবে ডিমগুলোকে জড়িয়ে থেকে তা দেবে। এ সময় সাপটি কোনো খাবার গ্রহণ করবে না। এমনকি পানিও খাবে না।
“বাচ্চা ফোটার আগের দিন ডিম ছেড়ে সাপটি সরে যাবে। এর পরদিন থেকে একে একে ডিম থেকে বাচ্ছা ফোটা শুরু হবে।”
বাচ্ছাগুলো পরিপূর্ণ হলে লাউয়াছড়া অথবা সাতছড়ি বনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান পরিচালক।