গাজীপুরের
কালিয়াকৈর উপজেলার এই কারখানায় স্যালাইন তৈরির ইউনিটে সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে
আগুন লাগে। একতলায় আগুনের সূত্রপাত হলেও তা দ্রুত তিনতলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তাছাড়া
রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
কালিয়াকৈর
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের গুদাম পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, ফয়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর,
গাজীপুরের কালিয়াকৈর, সাভারের ডিইপিজেড, টাঙ্গাইলের সখিপুর, মির্জাপুরসহ আশপাশ থেকে
একে একে ১৯টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
“প্রায়
সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ড্যাম্পিং ও সার্চের
কাজ চলমান থাকে।”
ফায়ার
সার্ভিস কর্মকর্তারা এখনও আগুনের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারেননি।
কারণ খুঁজতে
মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক
দিনমনি শর্মা।
কারখানা
কর্তৃপক্ষও দিতে পারেনি আগুনের কারণ বা ক্ষতির তথ্য। আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কারখানার
মানব সম্পদ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “টেকনিক্যাল ফ্লোরে
আগুনের সূত্রপাত হয়, যেখানে স্যালাইন তৈরি হয়। এখানে তেমন জনবলের প্রয়োজন হয় না। রক্ষণাবেক্ষণের
জন্য কয়েকজন লোক প্রয়োজন হলেও আগুনের সময় তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। ফলে হতাহতের
ঘটনা ঘটেনি।”
ফায়ার
সার্ভিসের সদর দপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কর্নেল মো. রেজাউল করিম, সহকারী পরিচালক
মো. আব্দুল হালিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।