সাত বছর আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এ মামলায় খালেদা জিয়া আগে
অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর
হোসেন ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার তার জামিন প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করে স্থায়ী জামিনের
আদেশ দেয়।
খালেদার আইনজীবী কায়সার কামাল মঙ্গলবার বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলায় তার জামিনের রুল মঞ্জুর হয়েছে। অর্থাৎ তার
জামিন এখন স্থায়ী হয়েছে।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সাবেক
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেলে সব মামলায় তিনি
খালাস পেতেন। আর জামিন দিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন তার অব্যবহার করেন না। এ মামলা তার
প্রমাণ।”
২০১৫
সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে
আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আট
যাত্রী। আহত হন আরও ২৭ জন।
ওই
ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে
দুটি মামলা করেন। পরে পুলিশের আবেদনে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের
মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলা দায়েরের পর দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে
অভিযোগপত্র দেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম।
মামলায়
খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসমি করা হয়। উভয় মামলায় তাকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কুমিল্লার মামলায় হাই কোর্টে খালেদার জামিন
কুমিল্লার মামলায় খালেদার জামিন নিষ্পত্তির নির্দেশ হাই কোর্টের
জিয়া
এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে থাকা
অবস্থায় খালেদা
জিয়ার জন্য এ মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়েছিল কুমিল্লার বিশেষ আদালতে।
ওই আবেদনে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার
ওই আদালত খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে। এরপর একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিন
চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া।
পরে ওই বছরের ৬ মার্চ এ মামলায় তাকে রুলসহ ছয়
মাসের জামিন দেয় হাই কোর্ট। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এবারে এই মামলার স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।