ক্যাটাগরি

‘ফাইনালে’ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে নামিবিয়ার ইতিহাস 

দুই দলের জন্য ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল অলিখিত ফাইনাল। প্রথম চার ম্যাচ শেষে সিরিজে ছিল ২-২ সমতা। বুলাওয়ায়োতে মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে নামিবিয়া জিতেছে ৩২ রানে। ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেয় তারা ৯৫ রানে।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলা নামিবিয়া পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এটি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন নামিবিয়ার দুই ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়ামস ও মাইকেল ফন লিনগেন। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারায় তারা। পরের চার ব্যাটসম্যান যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

উইলিয়ামস ৩৯ বলে ৫ চারে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে হন ম্যাচের সেরা। শেষ দিকে রুবেন ট্রাম্পেলমানের ১৪ বলে একটি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ১৯ রানের সৌজন্যে ৮ উইকেটে ১২৭ রান করতে পারে নামিবিয়া।

জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, লুক জঙ্গুয়ে ও ওয়েসলি মাধেভেরে নেন ২টি করে উইকেট।

এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে পায়নি নিয়মিত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই অনুভব করেছে তারা।

রান তাড়ায় ২৭ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ৭ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে পাঁচ বল বাকি থাকতে একশর আগে অল আউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

২০১৯ সালের পর এই সিরিজ দিয়ে দলে ফেরা টনি মুনিয়োঙ্গা করেন সর্বোচ্চ ২৮ রান। সপ্তদশ ওভারে তাকে বোল্ড করে দেন ভিসা। সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটটি নেন।

দলের সেরা বোলার অবশ্য এরাসমাস। এই অফ স্পিনার ৩ ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের প্রাপ্তিও ২টি, ২৫ রান দিয়ে।