গুগল ব্লগে প্রকাশিত পোস্টে প্রকল্পের
এক জ্যেষ্ঠ গবেষক বলছেন, এটি থেকে আসা ফলাফল ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরও ভালো
পণ্য ও সেবা নির্মাণে সহযোগিতা করতে পারবে বলে আশা করছেন তারা। ভবিষ্যতে নীতিমালা এবং
শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনেও এর ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
ব্লগ পোস্টে গুগলের অ্যাপ ব্যবহারের
কারণও ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা। গুগলের ‘হেলথ স্টাডিস’ অ্যাপটি থেকে নিয়ন্ত্রিত কৌশলে
নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। এই খাতের আগের গবেষণাগুলোয় তথ্য সংগ্রহের
কাজটি ব্যবহারকারীদের হাতেই থাকতো। অনেক ক্ষেত্রেই এভাবে গবেষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী
মানসম্পন্ন সঠিক তথ্য মিলতো না।
গবেষকরা আশা করছেন, গুগলের অ্যাপটির
মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের ফলে আগের গবেষণায় উঠে আসেনি এমন কিছু বিষয়ও উন্মোচন সম্ভব হবে।
এর পাশাপাশি, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর কাজের চাপ কমানোর মাধ্যমে গবেষকরা আরও বেশি
সংখ্যক অংশগ্রহণকারীকে আকৃষ্ট করার আশা করছেন বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ব্যক্তিগত ফিটবিটের
তথ্যও গুগলের অ্যাপের মাধ্যমে গবেষকদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ভার্জ।
এ প্রসঙ্গে গুগলের মুখপাত্র ইজ কনরয়
জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েডের বিল্ট-ইন ‘ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং সিস্টেমে’ ব্যবহৃত এপিআইয়ের
কয়েকটি ব্যবহৃত হচ্ছে গবেষণায়। তবে, ব্যবহারকারীদের ডেটা আলাদাভাবে আরও স্বচ্ছ গবেষণা
প্রোটোকলের অধীনে সংগ্রহ করা হবে। ব্যবহারকারী কতোবার ফোন আনলক করছেন, এবং কোন অ্যাপগুলো
বেশি ব্যবহার করছেন– এমন ডেটাগুলো সংগ্রহ করার কথা বলেছেন কনরয়।
ব্লগ পোস্টে গবেষকরা বলেছেন, কঠোর মান
বজায় রেখে ‘কেবল গবেষণা ও আরও ভালো পণ্য বা সেবা’ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে।
‘হেলথ স্টাডিস’ অ্যাপটি গুগল উন্মুক্ত
করেছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। সে সময়েও শ্বাসতন্ত্রের রোগ নিয়ে গবেষণায় ব্যবহৃত
হয়েছে অ্যাপটি। গবেষণায় অংশ নিতে চাইলে গুগলের প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে
গবেষণা প্রকল্পে নিবন্ধন করতে হবে আগ্রহীকে।
গবেষণার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে
২৭ মে, চলবে চার সপ্তাহ ধরে।