সোমবার দাভোসে বিশ্বের ব্যবসায়িক নেতাদের সম্মেলনে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, অন্যান্য দেশকে তাদের লক্ষ্য হাসিলে ‘পাশবিক শক্তি’ ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে বিশ্বের অবশ্যই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা উচিত।
ইইউয়ের ২৭ সদস্য দেশের অনেকেই রাশিয়ার তেলের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল, তাই এ ব্লকটি ওই সরবরাহ থামাতে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ কিইভের।
এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞায় সম্মতি দেওয়ার আগে তাদের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের দাবিতে সোমবারও অটল ছিল হাঙ্গেরি, এতে ইইউয়ের যে রাষ্ট্রগুলো দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার পক্ষে তাদের সঙ্গে দেশটির বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে; জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি শহরে সরকারি সেনাদের পাহারার মধ্যে হেঁটে যাচ্ছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধ করার পর পরিস্থিতি সামলাতে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোকে ২ বিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইইউ।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক সম্প্রচার মাধ্যম জেডডিএফকে বলেছেন, “কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।”
তিনি জানান, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্যে লাগাম পরাতে ইউরোপীয় কমিশন ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে।
“অবশ্যই এটি অস্বাভাবিক পদক্ষেপ কিন্তু সময়তো অস্বাভাবিক,” বলেন তিনি।
রাশিয়ার তিন মাস ধরে চলা আক্রমণে ইউক্রেইন থেকে ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষ বিদেশে পালিয়ে গেছে, দেশটির বহু শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ও বেশ কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক চ্ছিন্ন হওয়ায় পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে ক্রেমলিন।
বেইজিংয়ের সঙ্গে মস্কোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রতিবাদে জাতিসংঘে রুশ কূটনীতিকের পদত্যাগ