সোমবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ১৯টি ইউনিট
সাত ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনার পর মঙ্গলবারও সেখানে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।
দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “ওই কারখানায় নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বা ইক্যুইপমেন্ট পর্যাপ্ত ছিল না।
যা ছিল তা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক।”
তবে এ
ব্যাপারে বিকালে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মানবসম্পদ বিভাগে নির্বাহী মো.
ফরিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একই স্পেসে পোশাক কারখানায় যে
পরিমাণ ফায়ার এক্সটিংগুইসার বা অগ্নিনির্বাপণ
যন্ত্রপাতি প্রয়োজন পড়ে, ওষুধ কারখানায় ওই পরিমাণ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পড়ে না।”
“কারণ
ওষুধ কারখানার জনবল ও পরিবেশ, পোশাক কারখানার পরিবেশের চেয়ে আলাদা। ফায়ার
সার্ভিসের কর্মকর্তারা হয়তো ওষুধ কারখানার সঙ্গে পোশাক কারখানার পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা মিশিয়ে ফেলেছেন। এবং তার সঙ্গে
তুলনা করে আমাদের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি অর্ধেক রয়েছে বলে মন্তব্য করে থাকতে
পারেন।“
এর
পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিনমণি শর্মা বলেন, “যেকোনো ধরনের
শিল্প-কারখানায় প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য একটি করে এক্সটিংগুইসার
থাকার কথা। কিন্তু তাদের প্রায় ৭০ হাজার বর্গফুটের ওই কারখানায় এ ধরনের কয়টি
যন্ত্রপাতি আছে তা তারাই ভালো জানেন।“
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসার পর সোমবার রাতে
ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (অপারেশন) লেফট্যানেন্ট কর্নেল রেজাউল করিম সাংবাদিকদের
বলেন, “কারখানার লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল ইউনিটে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে মূল চ্যালেঞ্জ
ছিল কারখানার বিশাল আয়তন।
“প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার বর্গফুটের এ কারখানার
বহুতল ভবনটিতে সংস্কার ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে
পারে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।”
আগুনে স্যালাইন ও ট্যাবলেট তৈরির বিপুল উপকরণ
ও কেমিক্যাল পুড়ে গেছে উল্লেখ করে রেজাউল বলেন, “অনেক বড় বিল্ডিং এবং চারিদিক থেকে
প্রবেশপথ ছিল খুবই স্বল্প। সেখানে স্টিল ও গ্লাসের পার্টিশন ছিল, সেগুলো ভেঙে ভেতরে
ঢুকে আগুন নেভাতে খুব বেগ পেতে হয়েছে। দুপুরের দিকে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।”
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যার
হাউস পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “মঙ্গলবার বিকালেও ড্যাম্পিংয়ের কাজ চলছিল। ঘটনাস্থলে
কালিয়াকৈর স্টেশনের একটি এবং মির্জাপুর স্টেশনের একটি ইউনিটের কর্মী স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।“
“অগ্নিকাণ্ডে স্টিলের নির্মিত চারতলা ভবনের
সিংহভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের সব তলার মধ্যখানের স্টিলের কাঠামোগুলো ‘ভি’-এর মতো
হয়ে আছে। আর ভেতরে থাকা স্যালাইন ও ট্যাবলেট তৈরির বিপুল উপকরণ, মেশিনারিজ পুড়ে গেছে।”
আরও
পড়ুন: